বেঙ্গালুরু, ৯ অক্টোবর: বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) মহালক্ষ্মী দাসকে (Mahalaxmi Das) খুন করে তাঁর দেহ টুকরো করা খুনি নিজেই আত্মহত্যা করেছে। ওড়িশার ভদ্রক থেকে উদ্ধার হয়েছে বেঙ্গালুরুতে খুন হওয়া মহালক্ষ্মী দাসের খুনির দেহ। ওই ঘটনার পর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই এবার ফের বিস্ফোরক খবর সামনে এল। যেখানে পুলিশ মহালক্ষ্মীর খুনির আরও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। যে সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, মহালক্ষ্মীকে যদি সে খুন না করে, তাহলে পালটা ওই মহিলা তাকে শেষ করে দেবেন।
রিপোর্টে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru Murder) যে কাপড়ের ফ্যাক্টরিতে মহালক্ষ্মী দাস কাজ কাজ করতেন, সেখানে তাঁর প্রেমিক মুক্তি রঞ্জনকেও শেষ দেখা যায় ১ সেপ্টেম্বর। বেঙ্গালুরুর ওই কাজের জায়গায় মহালক্ষ্মী দাস বা মুক্তি রঞ্জনকে ১ সেপ্টেম্বরের পর আর দেখা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ১ সেপ্টেম্বরের পর বেঙ্গালুরুর যে ফ্ল্যাটে মহালক্ষ্মী থাকতেন, সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে, পুলিশ হাজির হয়ে টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে। ফ্রিজ থেকে বের করা হয় মহালক্ষ্মীর দেহের একাধিক খণ্ডাংশ।
মহালক্ষ্মীর মা প্রথমে মেয়ের দেহ দেখে চিনতে পারেননি। তবে দেহের খণ্ডাংশ দেখে ক্রমশ সবকিছু তাঁর সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়। পুলিশ জানায় মুক্তি রঞ্জন ৫০টি টুকরোতে খণ্ডিত করে মহালক্ষ্মীর দেহ। তারপর কোনও অংশ ফ্রিজ আবার কোনও অংশ বাথরুমে লুকিয়ে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ এরপর ওড়িশার (Odisha) ভদ্রকে মহালক্ষ্মীর প্রেমিক মুক্তি রঞ্জন লুকিয়ে রয়েছে বলে খোঁজ পায়। যদিও পুলি পৌঁছনোর আগেই মুক্তি রঞ্জন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে যেমন মুক্তি রঞ্জনের দেহ উদ্ধার করে, তেমনি একটি সুইসাইড নোটও মেলে। যেখানে মহালক্ষ্মীকে খুনের কথা স্বীকার করে মুক্তি রঞ্জন। ওই ঘটনার পর এবার ফের তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আরও একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে, যেখানে মহালক্ষ্মীকে খুন না করলে ওই তরুণী পালটা তাঁর প্রেমিককে শেষ করে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। নিজেকে রক্ষা করতেই মুক্তি রঞ্জন মহালক্ষ্মীকে খুন করেছে বলে ওই সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মুক্তি রঞ্জনের সুইসাইড নোটে আরও লেখা রয়েছে, মহালক্ষমী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন। এমনকী দাবিদাওয়া পূরণ না হলে মহালক্ষ্মী তাকে মারধর করতেন বলেও দাবি করেন মুক্তি। দিনের পর দিন ধরে মহালক্ষ্মীর দাবি বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি মহালক্ষ্মীকে সোনার হার এবং নগদ ৭ লক্ষ দেওয়া হয় বলে জানায় মুক্তি রঞ্জন। তাতেও মহালক্ষ্মীর দাবি কমেনি উলটে বাড়তে শুরু করে বলে নিজের সুইসাইড নোটে উল্লেখ করে খুনি মুক্তি রঞ্জন। মহালক্ষ্মীর মৃত্যুর পর পুলিশের হাতে আসা নতুন এই সুইসাইড নোট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে।