molestation-Rape Photo Credit: Pixabay

বেঙ্গালুরুতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নিজের ঘরে ভয়ানক ঘটনার শিকার হলেন ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ১৭ মার্চ, ব্রুকফিল্ডের কাছে  এ ই সি এস (AECS) লেআউটে তার বাড়িতে ডেলিভারি বয়ের দ্বারা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন তিনি। একটি বড় অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে তিনি খাবার অর্ডার করেছিলেন। সেই কোম্পানীর ডেলিভারি বয় এই কান্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী মহিলা আরুষি ( নিরাপত্তার কারণে পরিবর্তন করা হয়েছে) জানান যে ,তিনি কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁ থেকে ধোসা অর্ডার করেছিলেন।  সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে তার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।

পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে মহিলাটি বলেন যে- “সৌজন্য স্বরূপ মহিলা তাকে (ডেলিভারি বয়) জিজ্ঞাসা করেছিলেন সে  জল খেতে চায় কিনা। জবাবে সে হ্যাঁ জানায়। এরপর  ভিতরে গিয়ে তাকে এক গ্লাস জল দেওয়ার পরে সে চলে যায়। কিন্তু, মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরে, ওই ডেলিভারি বয় আবার দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে।" মহিলা দরজা খুললে সে জরুরী ভিত্তিতে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে অনুরোধ করে। এরপর ওই মহিলা তাকে ওয়াশরুম দেখিয়ে দেয় এবং  সে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে  তাকে চলে যেতেও অনুরোধ করে। এরপর ওই ডেলিভারী বয় আবারও  এক গ্লাস জল খেতে চান। তাতে রাজি হয়ে যখনই ওই মহিলা রান্নাঘরের দিকে হাটা লাগায় তখনই অভিযুক্ত অনুসরণ করে রান্নাঘরে চলে যান এবং মহিলার হাত হঠাৎই ধরে অশ্লীল ব্যবহার করতে থাকে। এরপর মহিলা চিৎকার করতে থাকে আর জিজ্ঞাসা করতে থাকে সে কী করছে এবং কেন সে রান্নাঘরে এসেছে। এরপর রান্নাঘরের একটি প্যান তুলে তার পিঠে আঘাত করলে সে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর মহিলা তার পিছনে দৌড়ে লিফটে গেলেও অভিযুক্ত সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়।"

ভুক্তভোগী মহিলার বয়ান অনুসারে ডেলিভারি বয় দাড়িওয়ালা ছিল এবং মুখে মাস্ক পড়ে ছিল।  আরুশি( ভুক্তভোগী ) ঘটনার পরে ১১২ পুলিশ হেল্পলাইনে কল করে। এরপর ঘটনাস্থলে আসে হোয়াইটফিল্ড থানার হোসলা টিম।  তারা তাকে হ্যাল( HAL) থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়। মহিলা আরও জানান যে "ডেলিভারি বয় আমার সাথে ভাঙ্গা হিন্দি এবং ইংরেজিতে কথা বলেছিল, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই যে সে রান্নাঘরে এসে আমার কাছে এসে অন্য কোন ভাষায় কথা বলেছিল কিনা,"। ঘটনার পর তিনি যে চারতলা বিল্ডিংয়ে থাকেন তার বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ডেলিভারি বয়দের অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং গেট থেকেই খাবার সংগ্রহ করা হবে।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় আকাশ বি নামে ডেলিভারি বয়ের ছবি চিহ্নিত করে তাকে ধরার চেষ্টা চলছে। আরুষি বলেন- “অনলাইন কোম্পানি আমার অভিযোগের দ্রুত জবাব দেয়নি। আমি থানায় পৌঁছালেও তারা ডেলিভারি বয়ের মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য তথ্য জানায়নি। আমি যখন কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন সে অসাবধানতাবশত একজন পুলিশ অফিসারকে বলতে শুনেছিল যে আমাকে কোম্পানির নাম লিখতে হবে, তারপরে তারা আমাকে ওই ডেলিভারি বয়ের ফোন নম্বর দিতে রাজি হয়'।