দেশের সাধারণ মানুষের কাছে যাতায়াতের অপরিহার্য মাধ্যম রেল (Indian Railways) পরিষেবা। কম খরচে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত করছেন সবধরনের মানুষজন। তবে যুগ পাল্টেছে, আর সেই কারণেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেমন গতি বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই যাত্রীদের কথা ভেবে সফর যাতে আরামদায়ক হয়, সেইজন্য কোচগুলি পরিবর্তনও করা হচ্ছে। তবে এতকিছুর পরেও রেলব্যবস্থার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই লাভের মুখ দেখছে না কেন্দ্র। কারণ আয়ের বেশিরভাগ টাকাই যাচ্ছে বিদ্যুৎ খরচে। আগামীদিনে লোকাল ট্রেনেও এসি রেক ব্যবহার বাড়বে। ফলে খরচ অনেকটাই বাড়বে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য। আর সেই কারণেই বিকল্প পদ্ধতির দিকে এগোচ্ছে ভারতীয় রেল।

ট্রায়াল রান চলছে জোরকদমে

ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০-এর মধ্যে গ্রিন রেল নেটওয়ার্ক বানাতে চাইছে রেলমন্ত্রক। আর সেই কারণে রেললাইনে বসানো হচ্ছে সোলার প্যানেল। এগুলি বসানো হবে রেললাইনের স্লিপারের ওপরে। যা আটকানো থাকবে বরাব প্যাডের ওপরে। এতে ওপর দিয়ে ট্রেন চলে গেলেও কোনও সমস্যা হবে না। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সহজেই খোলাও যাবে। ইতিমধ্যেই বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের রেললাইনে পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। সেখানে ৭০ মিটারের ২৮টি প্যানেল বসানো হয়েছে। যদি ট্রায়াল রান সফল হয়, তাহলে আগামী দিনে কমপক্ষে ১ লক্ষ ১৫ হাজার এলাকা জুড়ে বসানো হবে এই সোলার প্যানেল।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প পদ্ধতিতে লাভ রেলের

বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ৭০ মিটার লাইনের মধ্যে ৬৭ ইউনিট বা ১৫ কিলোওয়াট পিক বিদ্যুত উৎপন্ন হচ্ছে। ভবিষ্যতে, প্রতি কিলোমিটারে কমপক্ষে ৩ লক্ষ ২১ হাজার কিলোওয়াটের বিদ্যুত উৎপন্ন হবে। এতে চিরাচরিত শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার অনেকটাই কমবে এবং পরিবেশ দূষণও পরিমাণও অনেকটাই কমবে। এছাড়া খরচও অনেকটাই বাঁচবে।