Jammu & Kashmir: পুলওয়ামা উরির ছকে হামলা চালাতে বালাকোটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ২৭জন জঙ্গি, সতর্ক করল এনআইএ
প্রতীকী ছবি

শ্রীনগর, ৭ ফেব্রুয়ারি: এখনও বছর ঘোরেনি, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনন্তনাগে সিআরপিএফ সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় পাক জঙ্গি সংগঠন। এই ঘটনায় ৪০জন সেনা জওয়ান শহিদ হন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের তরফে বায়ুসেনা অভিযান হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে (Balakot)। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি। এই হামলার ঘটনা পাকিস্তান অস্বীকার করেছে। এরপর ৩৭০ ধারা রদ হলে ফের কাঁদুনি গাইতে শুরু করে ইসলামাবাদ। ফের নাশকতার জন্য তৈরি হচ্ছে বালাকোট। ২৭ জন জঙ্গির ফিঁদায়ে হামলার উপযোগী প্রশিক্ষণ চলছে। উরি বা পুলওয়ামা হামলার অনুকরণেই সাজানো হয়েছে ছক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লিকে সতর্ক করল এনআইএ।

জানা গিয়েছে, মৌলানা মাসুদ আজহারের পরে বালাকোটের সক্রিয় শিবিরগুলির পরিচালনার দায়িত্বে এখন ইউসুফ আজহার। তারই নেতৃত্বে ২৭ জন জঙ্গিকে ফিদায়েঁ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আটজন পাক-অধিকৃত পাকিস্তানের বাসিন্দা। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য জইশ শিবিরের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কম্যান্ডারদের আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে দু’জন পাঞ্জাব, পাকিস্তান এবং তিনজন আফগানিস্তানের বাসিন্দা। গোয়েন্দা রিপোর্ট এমনও বলছে, যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই সপ্তাহের মধ্যেই ট্রেনিং শেষ হবে। এরপরেই ভারতের নানা জায়গায় হামলা চালাবার চেষ্টা করবে তারা। আরও পড়ুন-Doctor Li Wenliang Died: তিনিই প্রথম সতর্ক করেন, করোনার থাবায় থামলেন উহানের হিরো চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং

যে বালাকোটে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি শিবির ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ফের সেই বালাকোটেই জেগে উঠেছে জঙ্গিশিবির, চলছে প্রশিক্ষণ। গতবারের অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনা একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। তাতে জইশ-ই-মহম্মদের একাধিক নেতা, কমান্ডার, জিহাদি এবং নব্য জঙ্গি-সহ কয়েক’শ জনের মৃত্যু হয়। তারপর একবছর ধরে চোরাগোপ্তা হামলা, অনুপ্রবেশ, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানো সবই চলেছে। উপত্যকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীদের একের পর খুন করেছে জঙ্গিরা। এরমধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে ফের আসরে নামার প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে জইশ-ই-মহম্মদ।