মুম্বই, ১৪ অক্টোবরঃ প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে (Baba Siddique)। এমন শিহরিত হামলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বেড়েছে মুম্বইয়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের উপর। বাবা সিদ্দিকি খুনের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন অভিযুক্ত এবং একজন চক্রী। তৃতীয় অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেয়েছে অভিযুক্তরা নিজেদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও এনেছিল আরও এক অস্ত্র। তা হল 'পেপার স্প্রে' (Pepper Spray)। কেন পেপার স্প্রে নিয়ে এসেছিল তিন বন্দুকধারী আততায়ী?
প্রকাশ্য রাস্তায় অজিত পাওয়ারপন্থী এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, শনিবার, ঘটনার দিন বিকেলে বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তায় মাত্র একজন নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। গুলি চালানোর আগে ওই নিরাপত্তাকর্মীর চোখেই ছোঁড়া হয়েছিল পেপার স্প্রে। যার ফলে হামলাকারীদের কোনভাবেই আটকাতে পারেননি তিনি। বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে চম্পট দেয় তিন আততায়ী। তাদের মধ্যেই দুজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তৃতীয় অভিযুক্ত অর্থাৎ শিবকুমার গৌতম এখনও নিখোঁজ। শিবকুমারই সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। বাকি দুজন তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। তৃতীয় অভিযুক্তের সন্ধানে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১৫টি দল সক্রিয় হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ জানাচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তের কাজ থেকে দুটি বন্দুক ছাড়াও 'পেপার স্প্রে' উদ্ধার হয়েছে। বাবা সিদ্দিকির উপর গুলি চালানোর আগে নিরাপত্তারক্ষীদের কাবু করতেই সঙ্গে করে পেপার স্প্রে এনেছিল অভিযুক্তরা। গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত সহ এক চক্রীকে রবিবারই মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড আদালতে পেশ করা হয় বিচারক তিজনকেই ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে গুলি করা হয় এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবা সিদ্দিকির খুনের পর লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং ঘটনার দায়ভার নিজের কাঁধে নেয়। তবে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।