নতুন দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর: দু'দিনের মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি পদত্যাগ করতে চলেছেন। গত শুক্রবার জামিনে তিহার জেল থেকে মুক্তি পাওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এমন ঘোষণার পর দিল্লির রাজনীতিতে ঝড় শুরু হয়েছে। আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশী এই ইস্যুতে বললেন, "দেশের রাজনীতির ইতিহাসে আজকের দিনটাকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে মনে রাখা হবে। এর আগে কোনও নেতা কোনওদিন ঘোষণা করেনি, যদি আমায় সৎ মনে করেন তাহলেই ভোট দিন, না হলে ভোট দেবেন না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতি, অসত মানুষদের সহ্য করতে পারেন না। গভীর কষ্ট থেকেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করেছেন। দিল্লির কেউ বিশ্বাস করেন না, কেজরিওয়াল অসত। গত দু বছর ধরে কেজরিওয়ালকে বিজেপি ক্রমাগত হেনস্থা করে চলেছে। ওর কোনও আপ নেতার থেকে এক টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব দিল্লিতে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সততার ওপর ফের আস্থা দেখিয়ে বিপুল ভোটে জেতাবেন।"
এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরিওয়ালের ইস্তফার সিদ্ধান্তকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। গত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মনোজ তিওয়ারিকেই মুখ করে লড়ে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির।
কেজরিওয়ালের ইস্তফা নিয়ে কী বললেন আপ নেত্রী অতিশী
#WATCH | Delhi Minister Atishi says, "Today's day will be remembered as a historic day in the nation's politics...No leader in history has ever said only vote for me if I am honest otherwise don't vote...Arvind Kejriwal can't tolerate corruption, dishonesty...Arvind Kejriwal's… pic.twitter.com/GOMxB1DM1V
— ANI (@ANI) September 15, 2024
কেজরিওয়ালের ইস্তফা নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি
#WATCH | On Delhi CM Arvind Kejriwal's 'I am going to resign from the CM position after 2 days' statement, BJP MP Manoj Tiwari says "...The Court removed Arvind Kejriwal from the post of Chief Minister. So this is just a new drama, it is a show-off. What should have happened was… pic.twitter.com/Shld44qBNa
— ANI (@ANI) September 15, 2024
সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বললেন, "এটা একটা নতুন নাটক ছাড়া কিছুই নয়। আদালতই কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উনি যেদিন জেলে গিয়েছিলেন, তখনই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আমাদের দেশের ইতিহাস হল, মুখ্যমন্ত্রী জেলে গেলেই ইস্তফা দেন। যাতে তিনি জেলে থাকলেও রাজ্যের উন্নয়ন থমকে না থাকে। উনি দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনের পর ইস্তফা দিচ্ছেন। দু দিন সময় চেয়েছেন ইস্তফার জন্য। দু'দিন ধরে তিনি কী করতে চলেছেন বোঝাই যাচ্ছে। উনি এখন খুঁজবেন তাঁর উত্তরসূরিকে। কেজরিওয়াল মানুষকে বিশ্বাস করেন না। দলের বিধায়কদের বিশ্বাস করেন না।"