নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ: দেশে করোনা (Coronavirus Outbreak) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আপাতত দেশ রয়েছে স্টেজ-২-তে। যেকোনও মুহূর্তে তা ছুঁতে পারে স্টেজ-৩কে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শপিং মল। শুধুমাত্র সবজি, ওষুধ এবং মুদি দোকানই খোলা থাকবে বলে স্পষ্ট জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২২৩। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
Delhi CM Arvind Kejriwal: In view of the prevailing situation, we are closing down all Malls (except grocery, pharmacy and vegetable shops in them) pic.twitter.com/1Q2Th7Mkwr
— ANI (@ANI) March 20, 2020
কর্ণাটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪। দিল্লিতে ১৩। হরিয়ানাতে ১৭ জন আক্রান্ত করোনাতে। এরমধ্যে ১৪জনই বিদেশি নাগরিক। উত্তরপ্রদেশ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলেছে ১৯ জনের। যদিও এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ জন। তবে, বাকি রাজ্যের পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও মুম্বইয়ের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ৫২ জনের অবস্থা সংকটজনক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করে দিয়েছেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত অফিস বন্ধ থাকবে। মুম্বই, নাভি মুম্বই, পুনে, পিমপরি চিনচিওয়াড় এবং নাগপুরের ক্ষেত্রে এই একই নিয়ম জারি থাকবে। আরও পড়ুন: Delhi Metro Services to Remain Suspended: জনতা কারফিউ চলার সময় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে দিল্লিতে
দেশজুড়ে এখনও ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লি, কর্ণাটক এবং জয়পুর থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। গত বৃহস্পতিবার দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস রুখতে দেশবাসীকে একত্রে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আগামী ২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত 'জনতা কার্ফু'-র কথাও ঘোষণা করেন তিনি। আগামী ২২ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।