হায়দরাবাদ, ২৪ মে: ফাঁসির শাস্তি হল মুন্নাভাইয়ের (Munna Bhai)। এই মুন্নাভাইয়ের আসল নাম মহম্মদ আব্দুল সামাদ (Mohammed Abdul Samad)। হায়দরাবাদের এক আদালত ডাকাতি-খুন সহ বিরল থেকে বিরলতম অপরাধের কারণে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল মহম্মদ আব্দুল সামাদ (মুন্নাভাই) সহ ১২জন দুষ্কৃতীকে। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিচার চলার পর গ্যাংস্টার মুন্নাভাই ও তার ১১ শাগরেদকে ফাঁসির শাস্তি দিল আদালত। মুন্নাভাই ও তার শাগরেদেরা এমন এক কীর্তি করে যা বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ হিসেবেই বিচারক রায় দেন। আরও পড়ুন: Karnataka:কোভিড বিধি ভেঙে ঘোড়ার শেষকৃত্যে হাজির শয়ে শয়ে মানুষ
চেন্নাই-কলকাতা হাইওয়েতে ডাকাতি ও খুন করার তিনটি মামলা ছিল মুন্নাভাই ও তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। হাইওয়েতে ৬জন ট্র্যাক চালক ও খালাসিদের খুন করে সর্বস্ব লুঠ এবং তারপর তাদের দেহ মাটিতে পুঁতে দেয় মুন্নাভাই ও তার সঙ্গীরা। তারা প্রথমে লোহার রড দিয়ে মানুষদের আক্রমণ করতেন, তারপর তাদের থেকে সব কেড়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে মারতেন। ২০০৮ সালে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা শুরু হয়।
প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহগুলি মাটিতে পুঁতেও দিত মুন্নার দল। সব অভিযোগই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। কিছু মৃতদেহ ও অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। মুন্নাভাইয়ের পাশাপাশি যাদের ফাঁসির সাজা হয়েছে তারা হলেন-এস রিয়াজ, সৈয়দ হিদায়াতুল্লা, মহম্মদ জামালউদ্দিন, বাতালা সালামোনা, জি শ্রীধর। তাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি খুনের মামলা চলছে। অস্ত্র আইনের মামলাতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হয়েছে মুন্নাভাই।