ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ অ্যাঙ্করের মামলায় নতুন তথ্য উঠে এল সামনে। ছত্তিশগড় পুলিশের অনুমান সালমা সুলতানাকে হত্যা করে দারি-কোরবা সড়কের কোথাও পুতে দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই পুলিশ সত্যি জানার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শোনা গেছে নিখোঁজ অ্যাঙ্করের দেহ উদ্ধার করতে থ্রীডি স্ক্যানারেরও সাহায্য নেবে পুলিশ।
Chhattisgarh | 2018 news anchor Salma Sultana missing case
A missing person report was filed in PS Kusmunda of Korba district in 2018. Now, during the re-investigation of the case, some new facts have emerged. We have received input that it is suspected that her body might be… pic.twitter.com/8op25afkDW
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) June 7, 2023
১৮ বছর বয়সী সালমা সুলতানা, কোরবা শহরতলির কুসমুন্ডার একটি সাধারণ পরিবারের বাসিন্দা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি রুপে ও গুণে খুব সুন্দর এবং প্রতিভাবান ছিলেন। ২০১৬ সালে দশম শ্রেণির পর টিভি পর্দায় আসেন এবং তার প্রতিভার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের জন্য একটি জায়গা তৈরি করে ফেলেন। অ্যাঙ্করিংয়ের পাশাপাশি তিনি রিপোর্টিং, স্টেজ শো এবং অন্যান্য প্রোগ্রামেও তার প্রতিভা দেখিয়েছেন। তার এই কাজের মধ্যেই তিনি বড় টিভি চ্যানেলের অ্যাঙ্কর হওয়ার এবং সোনালি পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্নও দেখছিলেন।কিন্তু পাঁচ বছর আগে সবটাই কেমন যেন গোলমাল হয়ে যায়।
পাঁচ বছর আগে কী হয়েছিল?
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে একদিন তিনি কুসমুন্ডা থেকে কোরবায় কাজে চলে যান। কিন্তু কাজ থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ করেও কোনো হদিস পাননি। প্রায় দুই মাস পরে পরিবারের সদস্যরা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কুসমুন্ডা থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। অ্যাঙ্কর সালমার নিখোঁজ হওয়ার খবর গণমাধ্যম কর্মী ও কোরবার সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে অনেক গুঞ্জনও শোনা যায়। কখনো তার মুম্বাই যাওয়ার আলোচনাও শোনা গেছে, আবার কখনো তুঙ্গে উঠেছে পরকীয়ার বিষয়টি। পুলিশ নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ নিলেও অনুসন্ধানে কোনো সক্রিয়তা দেখায়নি।
২০২৩ সালে দারি শহরের এসপি রবিনসন গুড়িয়া (IPS) জেলার অন্তর্গত কুসমুন্ডা থানার সমাধান না হওয়া মামলাগুলি পর্যালোচনা করার সময় নিখোঁজ সালমা সুলতানার ফাইল দেখেছিলেন এবং দেখেছিলেন এই ঘটনার তদন্তে ঘাটতি পাওয়া গেছে। এরপর নতুন করে তদন্ত শুরু করেন তিনি। সালমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। আর তার পরেই দারি-কোরবা সড়কের মাঝে তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার একটা ক্ষীণ আশা দেখা দিয়েছে।