Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

আহমেদাবাদ, ৩১ অগাস্ট:  ১৯৯৪ সালে পাকিস্তান পুলিশের হাতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি ২৮ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরলেন। গত সপ্তাহে কুলদীপ যাদব নামের ওই ব্যক্তিকে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট মুক্তি দেয়। ভারতের কাছে ওই ব্যক্তি আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। আরও পড়ুন-Ganesh Chaturthi Celebrations: সুপ্রিম রায়, পুলিশি দুর্গে পরিণত বেঙ্গালুরুর ঈদগাহ ময়দান

আমেদাবাদের (Ahmedabad)  সবরমতী কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে কুলদীপ এলএলবি কোর্সে ভর্তি হন। তখন ১৯৯১ সাল। তিনি চাকরি খুঁজছিলেন এবং তখনই কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে বলেন দেশের জন্য কিছু করতে।

১৯৯২ সালে তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়। দু,বছর বিদেশের মাটিতে থাকার পর ১৯৯৪ সালে যখন তিনি দেশে ফেরার কথা ভাবছিলেন তখনই পাকিস্তানি এজেন্সি তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং কোর্টে পেশ করে। দুবছর ধরে নানা এজেন্সি তাঁকে অনেকরকম জিজ্ঞাসাবাদ করে, জানিয়েছেন তিনি।

কুলদীপ আরও জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের আদালত তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় এবং তাঁকে কোট-লাখপত সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে  সর্বজিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় এবং ১৪ দিন পর পর তাঁদের দেখা করার ব্যবস্থা করত জেল কর্তৃপক্ষ। সর্বজিতের মৃত্যু পর্যন্ত ভারতীয় ও পাকিস্তানী বন্দিরা এক সঙ্গেই থাকতেন।

গত সপ্তাহে ভারতের দিক থেকে তাঁকে ভারতীয় অফিসিয়ালদের কাছ থেকে নিয়ে আসেন তাঁর ভাই। তিনি বলেছেন ৩০ বছর ধরে ভারতের জন্য কাজ করে আজ তিনি "জিরো বাট্টা জিরো" তাঁকে নির্ভর করতে হবে তাঁর ভাই দিলীপ ও বোন রেখার উপরে। তিনি আরও বলেছেন তাঁকেও অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের মতো ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তাঁকেও জমি ও পেনশন দেওয়া উচিত যাতে তাঁর জীবন তিনি নতুন করে গড়তে পারেন। তাঁকে এই ৫৯ বছরে কেউ চাকরিতে নেবে না। তিনি অন্যান্য দেশবাসীর কাছেও সাহায্যের আবেদন করেছেন।