শ্রীনগর, ১৭ অক্টোবর: সুকৌশলে উপত্যকা (Jammu & Kashmir:) জুড়ে নিধন যজ্ঞ শুরু করল পাক জঙ্গিরা। প্রথমে রাজস্থানের ট্রাক চালক। তারপর ছত্তীসগড়ের শ্রমিক। একই দিনে পাঞ্জাবের আপেল ব্যবসায়ী। তিনদিনে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হল। নিহতের নাম চরণজিৎ সিং তিনি পেশায় আপেল ব্যবসায়ী (apple trader)। বাড়ি পাঞ্জাবে সেখানেই ব্যবসা করে খান। আপেল কিনতে জম্মু ও কাশ্মীরে এসেছিলেন চরণজিৎ সিং। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) তাঁকে গুলি করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলি লেগেছে সঙ্গে থাকা আরেক ব্যক্তিরও। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য রাজ্য থেকে উপত্যকায় আসা শ্রমিকদেরই বারবার নিশানা করছে জঙ্গিরা। সবার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উপত্যকা। মঙ্গলবার শ্রীনগরের লালচকে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ফারুক আবদুল্লার মেয়ে এবং বোন। গত সপ্তাহেও শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা করেছিল জঙ্গিরা। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৭ জন। এই হামলার আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগেও গ্রেনেড হামলা করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৪ জন। তবে মৃত্যু মিছিল এখানেই শেষ নয়। বুধবার সকালেই ছত্তীসগড়ের এক শ্রমিককে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহত শ্রমিকের নাম সেঠি কুমার সাগর। একটি ইটভাঁটায় কাজ করতেন তিনি। ঘটনার দিন এলাকার একজনের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই দু’জন জঙ্গি এসে সেঠি কুমারের উপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আরও পড়ুন-দেশে ঢুকে পড়েছে একদল জঙ্গি, পঞ্জাব ও জম্মুর প্রতিরক্ষা ঘাঁটিগুলিতে হাই এলার্ট জারি
Jammu & Kashmir: Two Punjab based apple traders, Charanjeet Singh & Sanjeev shot at by terrorists in Trenz, Shopian at around 7:30 pm today. Charanjeet succumbed to his injuries, while Sanjeev is stated to be in a critical condition.
— ANI (@ANI) October 16, 2019
সোমবার যে ট্রাক চালককে মেরে ফেলা হয়েছে তিনি ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা। ট্রাকে করে ফল নিয়ে যাওয়ার সময় জঙ্গিরা তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনাতেও দুই জঙ্গির হাত রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আবার পাকিস্তানি। বুধবার সেঠি কুমার সাগরকে গুলি করেছিল দুই জঙ্গি। এদের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে চাষিদের অযথা ভয় পেতে নিষেধও করা হয়েছে।