সীমান্তে নজরদারি বায়ুসেনার (Photo: ANI)

লাদাখ, ১৯ জুন: গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পরে লাদাখে সীমান্তে নজরদারি শুরু করল ভারতীয় বায়ুসনা। বায়ুসনার চপার ও যুদ্ধবিমান উড়তে (Chopper and Fighter Jet) দেখা গেল আজ। এদিকে ভারত-চিন সীমান্তে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের বায়ুসেনা (IAF) প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া (RKS Bhadauria) প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে লেহ এবং শ্রীনগর (Leh-Srinagar bases) সফরে গেছিলেন। ইতিমধ্যেই বায়ুসেনা তাদের ফরোয়ার্ড ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান ও অন্য সরঞ্জাম বাড়িয়েছে। লাদাখে চিন ও ভারতের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। চিনের অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। তাই এই সময়ে দাড়িয়ে বায়ুসেনা প্রধানের লেহ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল লাদাখে বায়ুসেনা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে শত্রু পক্ষকে আঘাত করতে।

সরকারি সূত্র বলা হয়েছে, "বিমান বাহিনীর প্রধান দু'দিনের সফরে গেছিলেন। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় LAC-তে চিনা আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত প্ল্যাটফর্মকে ওই অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাই তিনি সেখানে প্রস্তুতি পরীক্ষা করে দেখেন। ইতিমধ্যেই ১০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।"  আরও পড়ুন: IAF Chief Visits Leh-Srinagar Bases: লেহ ও লাদাখ ঘাঁটি পরিদর্শনে বায়ুসেনা প্রধান; মোতায়েন সুখোই, মিরাজ যুদ্ধবিমান

সফরের প্রথম পর্বে ১৭ জুন তিনি লেহ-তে ছিলেন এবং সেখান থেকে ১৮ জুন শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে গেছিলেন। এই দুটি ঘাঁটি পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের কাছে এবং যে কোনও যুদ্ধা বিমান ওঠানামা করতে পারে। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। জানা যাচ্ছে, বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই সুখোই ৩০ এমকেআই, মিরাজ ২০০০ ও জাগুয়ার বিমান মোতায়েন রেখেছে সঠিক জায়গায়। যাতে কম সময়ের নোটিশে দ্রুত অপারেশনে নামানো যায়। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। লেহ ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিনুক ও মিগ ১৭ হেলিকপ্টার।