আমেঠি, ৫ অক্টোবরঃ দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে (Amethi Murder Case) স্কুল শিক্ষক স্বামী সুনীল কুমার, স্ত্রী পুনম এবং দম্পতির দুই শিশুকন্যাকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যোগীরাজ্যে। তদন্তে পুলিশের হাতে এল পরকীয়ার তথ্য।
হত্যাকাণ্ডের মুখ্য অভিযুক্ত চন্দন বর্মা জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে পুলিশকে তাঁর এবং পুনমের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, গত দেড় বছর ধরে পুনম তাঁর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুজনের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়। দূরত্ব বজায় রাখছিল পুনম। আর সেই মানসিক অস্থিরতা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
পুলিশ আরও জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার আমেঠির ভবানীনগরে ওই দলিত শিক্ষকের বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী প্রবেশ করে। তাদের মধ্যেই ছিল চন্দন। মোট ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী পুনম এবং তাঁদের দুই কন্যা সন্তানকে (একজনের বছর ৬ এবং অন্যজনের বয়স ১) গুলি করে খুন করা হয়। চারজনকে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
ঘটনার একদিন পর মুখ্য অভিযুক্ত চন্দর বর্মকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নয়ডা থেকে রাজধানী দিল্লিতে পালানোর চেষ্টা করেছিল সে। নয়ডার একটি টোল প্লাজায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হয় চন্দন। এক সাব-ইনস্পেক্টরের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিল সে, আর তখনই পালটা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। পায়ে গুলি লেগেছে চন্দনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে।