কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা শুরু হলো।কাশ্মীর থেকে পবিত্র গুহায় (Amarnath Cave Shrine) যাওয়ার দুটি পথ আছে ৷ একটি পহেলগাঁও হয়ে, অন্যটি বালতাল হয়ে ৷ পহেলগাম এবং গাণ্ডেরওয়াল জেলার বালতাল থেকে দুটি পথে ৩৮ দিন ধরে এটি চলবে।প্রথম রাস্তায় হাঁটতে হয় প্রায় ৪৮ কিলোমিটার ৷ পরেরটিতে ট্রেক করতে হয় ১৪ কিলোমিটার ৷ পহলেগাওঁয়ের রাস্তা ধরে যাওয়াই চিরাচরিত প্রথা ৷ বহু বছর ধরে দেশ ও বিদেশের বহু মানুষ এই পথেই গিয়েছেন পবিত্র গুহায় ৷ এবার জঙ্গি হামলার পর সেই পথে যেতে পর্যটকরা রাজি হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল ৷ তবে যাত্রার শুরুতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের কেউ কেউ ট্রেক করতে চাইলেও, অনেকেই হাঁটছেন ৷ এই বিষয়টিও স্থানীয়দের কাছে খুশি করেছে ৷

বহুযুগ ধরে হিমালয়ের ১২ হাজার ৭৫৬ ফুট ওপরে পবিত্র গুহার ভেতরে বরফের তৈরি স্টালাগমাইট শিবলিঙ্গের অনুরূপ আকৃতি ধারণ করে, যার দর্শন করতে ভিড় জমান ভক্তরা।  জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা এদিন ভোররাতে ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প (Bhagwati Nagar Yatri Niwas) থেকে অমরনাথ যাত্রার প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। প্রথম পর্যায়ে ৫,৪৮৫ জন তীর্থযাত্রীর দল পবিত্র গুহার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

প্রথম ব্যাচের তীর্থযাত্রীরা অমরনাথের উদ্দেশ্যেঃ

অমরনাথ যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫ হাজার ২৪৬ জন তীর্থযাত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের ভগবতীনগর যাত্রী নিবাস বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। এদিন সকালে ২৬৮টি গাড়িতে পুণ্যার্থীরা পবিত্র গুহার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এই দলে রয়েছেন ৪৭৪ জন পুরুষ, ৭৯৫ জন মহিলা, ১৯ জন শিশু, ২৪ জন সাধু, ৩৩ জন সাধ্বী এবং একজন রুপান্তকামী মানুষ। পহেলগাম হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অমরনাথ যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায়ে তীর্থযাত্রীরা