Mamata Banerjee and Abhishek in Meghalaya. (Photo Credits: Twitter-TMc)

শিলং, ১২ ডিসেম্বর: মেঘালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মেঘের দেশে পা দিয়েই মন জিতলেন মমতা। দু দিনের মেঘালয়ে সফরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নজরে উত্তর পূর্ব ভারত। মিশন মেঘালয়। বাংলার মেয়ের দেশের মেয়ে হয়ে ওঠার লড়াইয়ে নজর এবার উত্তর পূর্ব ভারতে। আজ, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ শিলং বিমানবন্দরে অভিষেককে নিয়ে নামেন মমতা। স্থানীয় খাসি ভাষায় মমতাকে স্বাগত জানান মেঘালয়ের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিন হোটেলে দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আগামিকাল, মঙ্গলবার শিলংয়ে বৈঠক সারবেন মমতা। মেঘালয়ের অন্যতম বড় উৎসব ক্রিসমাস। প্রাক-ক্রিসমাসের উদযাপনেও অংশ নেবেন মমতা, অভিষেক। সম্প্রতি অসম-মেঘালয় সীমান্তে পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারান মেঘালয়ের ৫জন গ্রামবাসী।

অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বিজেপি শাসিত অসম পুলিস। তৃণমূল সূত্রে খবর, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে পারেন মমতা। আরও পড়ুন-অরুণাচলে ফের ভারতীয় সেনার মুখোমুখি চিনা বাহিনী, আহত বেশ কয়েকজন

দেখুন মেঘালয়ে মমতা

স্থানীয় ইস্যুতে জোর, রাজ্য-কেন্দ্র সরকার বিরোধী আন্দোলনে গতি আনা, মহিলাদের পাশে থাকা, বাংলার কন্য়াশ্রী সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পকে তুলে ধরা-এইসব বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে মেঘালয়ে লড়তে চলেছে তৃণমূল। মমতার রোডম্যাপেই মেঘালয়ে লড়তে চলেছে তৃণমূল। গোয়ার মত শুরুতে অন্য দলের বিদ্রোহীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে, পরে দলবদল করা নেতাদের দল ছাড়ার ছকে আর পা দিতে রাজি নয় তৃণমূল। বাংলার পর মমতা সবচেয়ে বেশী আন্তরিক ভালবাসা মেঘালয় থেকেই পেয়েছেন। এমনই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই মেঘালয়ে এবার তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। কর্মীরা লড়াই করলেও, মমতা আগামী দিনে এখানে বারবার ছুটে আসবেন বলেও জানিয়েছেন।

দেখুন ভিডিয়ো

আগামী বছর মেঘালয়ে ফেব্রুয়ারিতে হবে ৬০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন।

৬০ আসনের মেঘলায় বিধানসভায় ক্ষমতায় আছে বিজেপি সমর্থিত মেঘালয় ডেমোক্রেটিক জোট। যার নেতৃত্বে কোনার্ড সাংমার ন্যাশাল পিপলস পার্টি। গত বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে কংগ্রেস জেতে ২১টি-তে, এনপিপি ২০, ইউডিপি ৬টি, বিজেপি ২টি ও নির্দলরা তিনটি আসনে জেতে। তবে বিজেপি, ইউডিপি ও নির্দলদের সমর্থনে শেষ পর্যন্ত সরকার গড়ে এনপিপি। মুখ্যমন্ত্রী হন কোনরার্ড সাংমা ।