দিল্লি, ২২ জুলাই: ফের আগুন ধরে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) একটি বিমানে। এবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের লেজে অর্থাৎ পিছন দিকের অংশে হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি হংকং থেকে দিল্লিতে আসে। দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport) নামার পরপরই হঠাৎ করে উড়ানের লেজে আগুন লাগে। বিমানের সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান কর্মীরাও নিরাপদে অবতরণ করেন। তারপরই হঠাৎ করে বিমানের পিছনের অংশে আগুন লাগতে দেখা যায়।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, বিমানে হঠাৎ আগুন লাগে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর। তবে যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁরা প্রত্যেকে নিরাপদে রয়েছেন। বিমানের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তার পরিমাণ কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে ওই ঘটনা ঘটল, তার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমানে আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করা হবে বলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়।
দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে কী জানানো হল
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরই বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা মিলবে। তবে বিষয়টি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে জোর কদমে।
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা
গত ১২ জুন ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দেরে যাওয়ার পথে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে সেটি ভেঙে পড়ে। যে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই দিনের বিমানে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১ জন অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যান। বাকি ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার ৫,৬ মিনিটের মাথায় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িংটি ভেঙে পড়ে। যার জেরে গোটা দেশ জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার আগে হঠাৎ করে ফুয়েল সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে এক চালক অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি সুইচ বন্ধ করেছেন। যার উত্তরে অপরজন জানান, তিনি কিছু করেননি। ভেঙে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের পর উড়ানের দুই চালকের কথোপকথন সামনে আসে। যা থেকেই ওই তথ্য প্রকাশ পায়।