নতুন দিল্লি, ১৬ মার্চ: দিল্লির এইমসে নেই করোনাভাইরাস (Coronavirus) সম্পর্কিত জনস্বার্থ সুরক্ষার যাবতীয় সামগ্রী। এনিয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টরকে চিঠি দিলেন এইমসের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। কারণ দেশের অন্যতম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নেই করোনাভাইরাসে প্রতিকারের যাবতীয় সরঞ্জাম। এদিক দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, এই পরিস্থিতিতে এইমসে কোনও রোগী ভর্তি হলে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন না ডাক্তাররা। সেজন্যেই ডিরেক্টরের কাছে গেল চিঠি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যাপাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এদিকে রোগ নিয়্ন্ত্রণের সরঞ্জাম না থাকায় বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর এসেছে, মাস্ক ও কোভিড-১৯ টেস্টের সরঞ্জাম না থাকায়, অনেক রোগীকে ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ফের নতুন করে জাতীয় হেল্পলাইন নম্ব চালু করেছে কেন্দ্র। 1075 এবং 1800-112-545 নম্বরে ফোন করলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১০। সব থেকে কারাপ অবস্থায় মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ আর কেরালায় ২২। এদিকে করোনাভাইরাস যেন কঠিন ঠাঁই। তার থেকে কারোরই নিস্তার নেই। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬৩,৯৩০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৪২০ জনের। মোট ১৪৩ টি দেশে ছড়িয়েছে মারণরোগ কোভিড-১৯। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও ধরনের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুল, শপিংমল, সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠান সবই প্রায় বাতিল হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ রয়েছে। বেরোলেও ন্যূনতম সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এই কারণে আদালতে শুনানিও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আরও পড়ুন-Virtual Courts Soon: করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আসছে শীর্ষ আদালতের ভার্চুয়াল কোর্ট, জানালেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়
দিনের পর দিন যেমন বিচার প্রক্রিয়ার কাজ বন্ধ রাখা যায় না। তেমন এই সময়ে আাদালতে জনসমাগমও বাঞ্ছনীয় নয়। তাই খুব শিগগির ভার্চুয়াল কোর্ট (Virtual Court) চালুর কথা বললেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে হলে সংক্রমণ রুখতে হবে। তার পথ একটাই, যেভাবে হোক ভিড় এড়িয়ে চতে হবে। সেকারণেই সুপ্রিম কোর্ট ভার্চুয়াল আদালতের বন্দোবস্তের কথা ভাবছে। কেননা কোর্ট চত্বর থেকে কোভিড-১৯ ছড়াক তা আমরা কেউ চাই না।”