আগ্রা, ২১ এপ্রিল: দেশী পিস্তল (Country Gun) হাতে তুলে দিয়ে মা ও দুই ভাই-বোনকে গুলি করতে নির্দেশ দেয় বাবা ও কাকা। কিন্তু সাহস হয়নি। তা করতে না পেরে নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করল ১৬ বছরের মেয়েটি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার সদর থানা অঞ্চলের শান্তিনগরে। গত বৃহস্পতিবার তার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সঙ্গে উদ্ধার হয় চার-পাতার একটি সুইসাইড নোটও (Suicide Note)। মৃত্যুর আগে মেয়েটি একটি ভিডিও তৈরি করেছিল যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এই ছাত্রী দশম শ্রেণীতে পড়ত। ওই ভিডিওতে ছাত্রীটি বলে, ‘আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম। পুলিশ অফিসার হয়ে মা, দাদা ও বোনকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ক্লান্ত। তাই জীবন শেষ করে দিচ্ছি। সম্পত্তির জন্য বাবা, দুই কাকা ও এক আত্মীয় মা, দাদা, বোন ও আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। কাকা আমাকে দেশী পিস্তল দিয়ে বলে, মা, দাদা ও বোনকে গুলি করতে হবে। আমি সেটা পারিনি।’ আরও পড়ুন, লকডাউনে তেলেঙ্গানা থেকে ছত্তিশগড়ের বাড়িতে ফিরতে চেয়ে ১৫০ কিমি হাঁটা, পথেই মৃত্যু কিশোরীর
মেয়েটি সুইসাইড নোটে লিখেছে, ‘আমার মাকে বিয়ে করার আগে বাবা তার প্রথম স্ত্রী ও ভ্রূণ সহ চার সন্তানকে খুন করেছিল। আমার কাকাও জেল খেটেছে। ওরা আমার শ্লীলতাহানি করত। আমার মৃত্যুর পর ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’ মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, ‘পরিবারের চার পুরুষ সদস্য ১৬ এপ্রিল সকালে আমাদের মারধর করে। এরপর আমি একটি কাজ করতে বাইরে যাই। দুপুরে ফিরে এসে দেখি ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’
সদর থানার স্টেশন হাউস অফিসার কমলেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তে জানা গেছে, গলায় দড়ি দিয়েই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। আমরা মেয়েটির বাবাকে গ্রেফতার করেছি। তবে বাকিরা পলাতক। মেয়েটি আত্মহত্যা করার আগে যা যা বলেছে, আমরা সব খতিয়ে দেখছি। এই মামলায় আরও কিছু ধারা যুক্ত হবে।’