
দিল্লি, ৬ মে: ৭ মে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হবে যুদ্ধ হলে তার প্রতিরোধ মানুষ কীভাবে করবেন, তার মহড়া অর্থাৎ সিকিউরিটি ড্রিল (Security Drill)। কেন্দ্রের নির্দেশে ৭ মে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিকিউরিটি ড্রিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Narendra Modi Govt) তরফে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে বুধবার অর্থাৎ ৭ মে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সিকিউরিটি মক ড্রিলের ব্যবস্থা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অর্থাৎ যুদ্ধ হলে কোথায় কীভাবে মানুষ আশ্রয় নেবেন। রাতের অন্ধকারে আলো না জ্বালিয়ে কীভাবে থাকতে হবে, যাতে শত্রুপক্ষ হানাদারি চালাতে না পারে আকাশপথে, সেই সমস্ত প্রশিক্ষণ দেশের মানুষকে দেওয়া হবে। বিশেষ করে পড়ুয়াদের এই সিকিউরিটি ড্রিলে অংশ নেওয়ানোর কথা জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। ফলে প্রস্তুতি তুঙ্গে এই মুহূর্তে।
কারা এই সিকিউরিটি ড্রিলে অংশ নেবেন
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কথায়, গোটা দেশ এই সিকিউরিটি ড্রিলে অংশ নেবে। দেশের ২৪৪টি জায়গায় হবে এই মক ড্রিল। দেশের একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে হবে এই সিকিউরিটি ড্রিল। ডেলাশাসক, প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক, হোম গার্ড, এনসিসি এবং পড়ুয়ারা অংশ নেবেন এই মক ড্রিলে। যে কোনও সময় হামলা হলে, সাধারণ মানুষ কীভাবে বাঁচবেন তার থেকে, সে বিষয়ে নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
এয়ার সাইরেন বাজলে কী করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রেডিয়োর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন থেকে শুরু করে আর কী করতে, সে বিষয়ে জানানো হবে সাধারণ মানুষকে। পরিকল্পিতভাবে ব্ল্যাকআউট করলে, তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হবে। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় আলো নিভিয়ে যাতে থাকা হয় শত্রুপক্ষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে অন্যত্র যেতে পারেন, সে বিষয়েও সেনা বাহিনীর তরফে সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে হয়েছে জানানো। কেউ আহত হলে, সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে, সে বিষয়েও জানানো হবে। পাশাপাশি যুদ্ধের সময় তড়িঘড়ি নিরাপদ আস্তানা তৈরির সমস্ত কৌশলও ৭ মে এর মক ড্রিলে শেখানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রণকৌশল সাজাচ্ছে ভারত
২২ এপ্রিল পহেলগামে (Pahalgam Terror Attack) হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ২৬ জন পর্যটকের প্রাণ কেড়ে নেয়। পহেলগামে পাকিস্তানের (Pakistan) হাত রয়েছে, তা স্পষ্ট। এরপর পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক প্রত্যাঘাত শুরু করে ভারত। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থেকে শুরু করে চেনাব এবং ঝিলমের জল বন্ধ করে পাকিস্তানকে শুকিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে ভারত। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।