
দিল্লি, ৬ মে: চেনাব নদীর (Chenab River) জলপ্রাবহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। বাগলিহার প্রকল্পের হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে কিছু পরিমাণ জল ছাড়া হলেও, তা যেন পাকিস্তানের প্রয়োজনীয়তা রক্ষা করতে পারছে না। বাগলিহার থেকে যে জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে কৃষিকাজ পূরণ হচ্ছে না পাকিস্তানের (Pakistan)। যা নিয়ে এবার ছটপট করছে পাকিস্তান।
সিন্ধু জলচুক্তি প্রকল্পে (Indus Water Treaty) পাকিস্তানের প্রতিনিধি মহম্মদ খালিদ ইদ্রিস রানা বলেন, চেনাব নদীর জলপ্রাবহ ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে ভারত। যাতে বিপুল অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে। চাষের এই ভরা মরশুমে চেনাব নদীর জলের প্রবাহ ভারত ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ায় পাকিস্তানকে বহু অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে স্বীকার করেন মহম্মদ খালিদ ইদ্রিস রানা। চেনাবের জল প্রবাহ প্রায় বন্ধ করে ভারত (India) যে কাজ করছে, তা বাঞ্ছিত নয়। ভারত এই ধরনের কাজ করবে, তা কল্পনা করা যায়নি বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় মহম্মদ ইদ্রিস খালিদ রানাকে।
চেনাবের জল আটকে দিয়েছে ভারত...
#JammuAndKashmir: Visuals from Ramban, where all gates of the Baglihar Hydroelectric Power Project Dam on Chenab River are closed.#ChenabRiver #Ramban pic.twitter.com/laETkrsAcn
— All India Radio News (@airnewsalerts) May 6, 2025
একটিমাত্র গেট খুলে রাখা হয়েছে জলের প্রাবহের জন্য...
#WATCH | J&K | Some amount of water is seen flowing out of the Baglihar Hydroelectric Power Project Dam built on the Chenab River in Ramban, while all gates of the dam remain closed pic.twitter.com/r629XpF2Z8
— ANI (@ANI) May 6, 2025
প্রতি মুহূর্তে চেনাব থেকে যে জল প্রবাহিত হয়, তার সামান্য কিছু অংশ ভারতের তরফে আটকানো হয়। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য। যা পাকিস্তানের কোনও ক্ষতি করে না। তবে বর্তমানে ভারত চেনাবের জলের প্রায় সবটুকু আটকে দিয়েছে। যার জেরে নদীর প্রবাহ প্রায় থেমে গিয়েছে। যা অনভিপ্রেত বলেও পাকিস্তানের তরফে মন্তব্য করা হয়।
এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, বাগলিহার প্রকল্পের বাঁধের সব গেট বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সালাল বাঁধের কয়েকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। তবে অবিলম্বে ভারতের তরফে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। সালাল এবং বাগলিহারের একটিমাত্র গেট খুলে রাখা হয়েছে যাতে অল্পস্বল্প জল পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত হতে পারে। মিলছে এমন খবর।
১৯৬০ সালে যে সিন্ধু জল চুক্তি হয়, সেখানে ঝিলম, চেনাব, রবি, বিয়াস এবং সাতলেজ, এই নদীগুলির জল ভাগাভাগি হয় ভারত, পাকিস্তানের মাঝে। যে নদীগুলি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ভাগাভাগি হয়, তার উপর নির্ভর করে ভারতের পাশের দেশের সমস্ত কৃষিকাজ। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করায়, কৃষিকাজ নিয়ে সমূহ বিপদের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সে দেশে শুরু হয়েছে হইচই।
বর্তমানে খারিফ শষ্যেের মরশুম চলছে। ফলে খারিফ শষ্য চাষে (Kharif Crop Season) পাকিস্তান যে বেজায় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করায়, তা স্পষ্ট করা হয়েছে সে দেশের সরকারের তরফে। সিন্ধু নদী সিস্টেম অথরিটির উপর চেনাব, মারালার জল প্রবাহিত হয়। ফলে মে থেকে ১০ জুনের মধ্যে যে খারিফ শষ্যের মরশুম চলে, তা যে রুদ্ধ হয়েছে, সে বিষয়ে বিপদ আঁচ করছে পাকিস্তান।