
দিল্লি, ১ মে: পহেলগামে হামলাকারী (Pahalgam Terror Attack) জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে কাশ্মীরে। দক্ষিণ কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। এনআইএ সূত্রে মিলছে এমন খবর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়।
এনআইএ (NIA) গোয়েন্দাদের কথায়, পহেলগামে হামলা চালিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীর (South Kashmir) লুকিয়ে পড়েছে জঙ্গিরা (Terrorist)। দক্ষিণ কাশ্মীরের এমন জায়গায় জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়েছে যেখানে তাদের খাবারদাবার, জল-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব নেই। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়েই দক্ষিণ কাশ্মীরে পহেলগামের হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। বাইরের কোনও সহযোগিতা ছাড়াই জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারছে বলেই ঝোপেঝাড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এমনও মনে করছে এনআইএ।
ফলে পহেমলগামে হামলাকারীদের দেখতে কেমন, তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আন্দাজ পেতে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে সমানে কথা বলছেন এনআইএ আধিকারিকরা।
২২ এপ্রিল পহেলগামে ৩ থেকে ৪ জঙ্গি হামলা চালায়। যাদের মধ্যে রয়েছে হাসিম মুসা, আলিয়াস ভাই আলি এবং আদিল। মুসা পাকিস্তান থেকে ২০২৩ সালে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে। পাকিস্তানি সেনার এসএসজি টিমের প্রাক্তন প্যারা কমান্ডার এই মুসা। পাক সেনা থেকে সরে লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয় এই জঙ্গি। এরপরই ভারতে অনুপ্রবেশ করে চালায় হামলা।
জানা যায়, কাশ্মীরি ফেরান পরেই সেদিন পহেলগামের বৈসরণ (Baisaran) ভ্যালিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রথমে বৈসরণ ভ্যালি থেকে বেরনোর গেটে জঙ্গিরা গুলি চালায়। যা শুনে সেখানে হাজির পর্যটকরা বৈসরণে প্রবেশের গেটে চলে যান হুড়মুড়িয়ে। পর্যটকরা যেই এন্ট্রি গেটে যান, সেই সময় সেখানে থাকা আরও ২ জঙ্গি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে মারতে শুরু করে। যে ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশ জুড়ে। পরপর ২৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর জঙ্গিরা পাইন বন ধরে লুকিয়ে পড়ে।
২২ এপ্রিল বাসরণ ভ্যালিতে যে হামলা চলে সেখানে জঙ্গিরা মুসলিম নন, এমন পর্যটকদের দিকে গুলি ছোঁড়ে। একমাত্র মুসলিম ঘোড়সওয়ার আদিল হুসেনের মৃত্যু হয় ওইদিন। এমনকী কলমা পড়তে বলে গুলি চালানো হয় পর্যটকদের দেখে। যে ঘটনা শুনে শিহরিত হয়ে ওঠে গোটা দেশ।