
দিল্লি, ১২ মে: ভারত, পাকিস্তানের (India-akistan Tension) মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি (Ceasefire) ঘোষণা হতেই আক্রমণ। অশ্লীল কটাক্ষ ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিকে (Vikram Misri)। ভারত এবং পাকিস্তানের ডিজিএমওদের কথা এবং দুই দেশ যখন অস্ত্র বিরতিতে রাজি হয়, সেই সময় বিদেশ সচিবকে অশ্লীল ভাষায় করা হয় কটূক্তি। যার জেরে বিক্রম মিস্রি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টকে প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত করে দিতে বাধ্য হন। বিক্রম মিস্রিকে যখন একের পর এক কটাক্ষ, আক্রমণ করা হয়, সেই সময় তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন ভারতের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পদস্থ আধিকারিকরা।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিকে যেভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনা করে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওবেইসি। মিম প্রধান লেখেন, বিক্রম মিস্রি একজন সৎ, পরিশ্রমী কূটনীতিক। যিনি দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। দেশের জন্য যখন রাজনৈতিক নেতারা কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তার দায় কখনও বিক্রম মিস্রির উপর চাপানো উচিত নয় বলে বিদেশ সচিবের পাশে দাঁড়ান মিম প্রধান।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও বিক্রিম মিস্রির পাশে দাঁড়ান। সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য কখনও কূটনীতিককে এভাবে আক্রমণ করা উচিত নয় বলে জানান অখিলেশ যাদবও।
ভারত, পাকিস্তানের মধ্য যখন চরম উত্তেজনা ছড়ায়, তখন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হতে দেখা যায় বিদেশ সচিবকে। দুই দেশের মধ্যে কী চলছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে শুরু করেন বিদেশ সচিব।
শনিবার যখন ভারত, পাকিস্তান অস্ত্র বিরতিতে রাজি হয়, সেই সময়ও বিক্রম মিস্রিকে দেখা যায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে। আর এরপরই বিদেশ সচিবকে নোংরা, কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় বেশ কিছু মানুষকে। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিক্রম মিস্রির পাশাপাশি তাঁর মেয়েকেও ট্রোলাররা (Vikram Misri Trolled) ছাড়েনি। অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করা হয় বিদেশ সচিবের কন্যাকেও। এরপরই নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত করে দেন বিক্রম মিস্রি।