COVID-19 Vaccine Update:এবার করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড তৈরির অনুমতি পেল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া
করোনা তাড়াতে প্রতিষেধকের যাত্রাপর্ব শুরু হতে চলেছে ভারতে। নতুন বছরের শুরুতেই দুই করোনা টিকাকে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড (Coronavirus Vaccine Covishield) এবং দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে এদিন ডিসিজিআই-র আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই দুটি ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ। তবে, যে কোনও ভ্যাকসিন নিলেই সামান্য ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জির মতো সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েই থাকে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরির পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল এই সংস্থা।
নতুন দিল্লি, ৪ জানুয়ারি: করোনা তাড়াতে প্রতিষেধকের যাত্রাপর্ব শুরু হতে চলেছে ভারতে। নতুন বছরের শুরুতেই দুই করোনা টিকাকে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড (Coronavirus Vaccine Covishield) এবং দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে এদিন ডিসিজিআই-র আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই দুটি ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ। তবে, যে কোনও ভ্যাকসিন নিলেই সামান্য ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জির মতো সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েই থাকে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরির পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল এই সংস্থা। গতকাল টুইটে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেরাম কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা লিখেছেন, ‘টিকা বানিয়ে মজুত করা নিয়ে ঝুঁকির কাজ শেষ হল। কোভিশিল্ড ভারতের প্রথম কোভিড-১৯ টিকা যা অনুমোদিত, নিরাপদ, কার্যকর এবং আগামী সপ্তাহে দেওয়ার জন্য তৈরি’। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ জন করোনা আক্রান্তের ভারতে কমল দৈনিক মৃত্যু
আদর পুনাওয়ালা বলেন, “সরকারকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হবে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ। আর খোলা বাজারে ১ হাজার টাকায় মিলবে এই টিকা। প্রতি মিনিটে প্রায় ৫ হাজার কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরি করতে পারে সংস্থা। এই টিকা যাতে বিদেশে সরবরাহ করা যায় সে ব্যাপারেও সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। সৌদি আরব ছাড়াও একাধিক দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে। কিন্তু অনুমতি না থাকায় এখন আমরা টিকা রপ্তানি করতে পারব না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাতে বিভিন্ন দেশে এটি আমরা বিক্রি করতে পারি।”
অন্যদিকে ভারত বায়োটেক আইসিএমআর ও এনআইভি'র সহযোগিতায় কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে। এই টিকাও যথেষ্ট কার্যকরী ও সুরক্ষিত। তাই জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে এবং বর্তমানে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের কারণে তৈরি হওয়া আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে, নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশে ভ্যাকসিনের যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। শনিবার সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ঘোষণা করেছিলেন, এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং দু'কোটি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জুলাইয়ের মধ্যে আরও ২৭ কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।