Mahakumbh 2025 Aghori Monk (Photo Credits: X)

প্রয়াগরাগ, ৩০ জানুয়ারিঃ কুম্ভ মেলার ভিড়ে এত দিন পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে যাওয়ার নানা কাহিনী শোনা গিয়েছে। এবার মহাকুম্ভে হল উলটো পুরাণ। এক পরিবারের অনুসন্ধান অভিযানের সমাপ্তি ঘটল মহাকুম্ভের মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) এসে। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেলেন মহিলা। মহাকুম্ভে আঘোরী সাধুর (Aghori Monk) বেশে নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী এবং গোটা পরিবার।

২৭ বছর আগে একদিন হঠাৎই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর কখনও ফিরে আসেননি গঙ্গাসাগর যাদব। পরিবারের তরফে বহু খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। শেষমেশ প্রয়াগরাজের (Prayagraj) মহাকুম্ভে গিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।

মহাকুম্ভে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেলেন স্ত্রীঃ

১৯৯৮ সালে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান গঙ্গাসাগর যাদব নামের এক ব্যক্তি। দীর্ঘদিন যাবত অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চালায় পরিবার। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। শেষমেশ হাল ছেড়ে দেয় পরিবার। এমন সময়ে তাঁদের এক আত্মীয় মহাকুম্ভে যান। সেখানে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। অঘোরি সাধুর বেশে গঙ্গাসাগর যাদবের একটি ছবি তুলে তাঁর পরিবারের কাছে পাঠান ওই আত্মীয়। স্বামীর জীবন্ত ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী। জানা যাচ্ছে, বছর ৬৫-এর গঙ্গাসাগর এখন অঘোরি বাবা। তাঁর নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এখন তিনি বাবা রাজকুমার নামেই পরিচিত।

স্বামীর জীবিত থাকার খবর পাওয়ার পরেই মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্ত্রী এবং পরিবার। গঙ্গাসাগরের স্ত্রী ধনোয়া দেবী জানান, বাবা রাজকুমারই আসলে তাঁর স্বামী গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগরের সঙ্গে হুবহু তাঁর চেহারার মিল রয়েছে। লম্বা দাঁত, কপালে আঘাত এবং হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয়েছেন ধনোয়া। স্ত্রী তাঁর স্বামীকে দীর্ঘ বছর পর চিনলেও পরিবারকে চিনতে পারছেন না বাবা রাজকুমার। নিজেকে বারাণসীর বাসিন্দা দাবি করে রাজকুমার জানান, গঙ্গাসাগর যাদবের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করানো হোক। মেলার পর ডিএনএ পরীক্ষার পরেই জানা যাবে সত্যিটা।