পাটনায় চন্দন কুমার মিশ্র খুনের ঘটনায় (Patna Shootout Case) গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তৌসিফ সহ ৪ জন। কলকাতার আনন্দপুর এলাকায় একটি গেস্ট হাউস থেকে চারজনকে আটক করে পাটনা ও বিহার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। তাঁদের সবরকমভাবে সাহায্য করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তৌসিফ ছাড়াও ছিল তাঁর দাদা নিশু খান ও তাঁর সহকারী এবং প্রেমিকা। এই তরুণী আবার কলকাতার বাসিন্দা। তৌসিফদের থাকার জায়গা খুঁজে দিতে সাহায্য করেছিল এই তরুণী। ধৃতদের গ্রেফতার করে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের আলিপুর আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
নিশুর বাড়িতেই হয় খুনের পরিকল্পনা
পাটনা পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে দাবি করে যে তৌসিফের দাদার ঘরেই চন্দনকে খুন করার সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এদিকে আবার নিশুর বক্তব্য, সে এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানত না। এদিন সে সাংবাদিকদের জানা, তৌসিফ অপরাধ করার পর ফোন করে জানিয়েছিল। ঘটনা শুনে নিশুর মাথা কাজ করছিল না। সে তৌসিফকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। এরপর তৌসিফ নিশু ও তাঁর সহকারীদের নিয়ে কলকাতায় আসে। পরিকল্পনা ছিল এখান থেকে দিল্লি যাওয়ার। কিন্তু শনিবার রাতেই তাঁদের আটক করা হয়।
নিশুর থেকেও উদ্ধার বন্দুক
যদিও নিশু এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানত না এবং তাঁর ঘরে এর পরিকল্পনা হয়নি বলেই দাবি করে। তৌসিফ শেরু সিংকে চিনলেও চন্দন কুমারের সঙ্গে তাঁর কী শত্রুতা ছিল, কেন হামলা করা হল, এই বিষয়ে নিশু কিছুই জানত না বলে দাবি করা হয়। প্রসঙ্গত, নিশু ২০২২ সালে একটি গ্যাংওয়ারে আহত হয়েছিল। সেই ঘটনায় তাঁর পিঠে গুলি লাগার পর থেকে সে শয্যাশায়ী রয়েছে। যদিও এদিন গ্রেফতারির সময় তাঁর থেকেও বন্দুক উদ্ধার হয়। পুলিশে জানায়, বন্দুকটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, আত্মরক্ষার স্বার্থেই সে ব্যবহার করে।