Arvind Kejriwal (Photo Credits: X)

Indraprastha Vikas Party: আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)তে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় ভাঙন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাত ছাড়লেন দিল্লির বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, নেতা, কর্মীরা। কেজরিওয়ালের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ নেতা মুকেশ গোয়েলের নেতৃত্বে পদত্যাগ করলেন দিল্লি পুরনিগমের (MCD)-র ১৫ জন আপ কাউন্সিলর। পদত্যাগের পর নতুন দল গড়ার ঘোষণাও করলেন আম আদমি পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী। আপের কাউন্সিলর হিমানি জৈন ঘোষণা করলেন, তারা নতুন দল গড়েছেন। কেজরির হাত ছেড়ে হিমানির মত একঝাঁক আপ কাউন্সিলর ইন্দ্রপ্রস্থ বিকাশ পার্টি নামের দল গড়লেন। হিমানির দাবি, এখনও পর্যন্ত দিল্লির ১৫জন কাউন্সিলর এই দলে যোগ দিয়েছেন। যার নেতৃত্বে আপে এত বড় ভাঙন সেই মুকেশ গোয়েল ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে আপে এসেছিলেন। তিনি টানা ২৫ বছর দিল্লির কাউন্সিলর ছিলেন।

আপ ছেড়ে কেন নতুন দল

আপ ছেড়ে নতুন দল তৈরির পিছনে তাদের প্রধান কারণ-  ক্ষমতায় থাকার পরেও গত আড়াই বছরে আপ সরকার দিল্লির উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। আগামী দিনে তারা বিজেপি বা কংগ্রেসের হাত ধরবেন কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি সদ্য প্রাক্তন আপ কাউন্সিলর-রা।

নতুন দলের ঘোষণা দলছুট আপ নেত্রীর

আপে বিদ্রোহ নিয়ে কী বলছে কেজরিওয়ালের শিবির

তবে এত কাউন্সিলদের একসঙ্গে দল ছাড়ার বিষয়টি বড় করে দেখতে নারাজ অতিশি, সৌরভ ভরদ্বাজ-রা। তাদের বক্তব্য, "দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আমরা হেরে গিয়েছে। যারা ক্ষমতার লোভে আমাদের কাছে এসছিলেন, স্বাভাবিকভাবেই তারা দল ছেড়ে যাবেন। কিন্তু বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আপোষহীন লড়াই চলবে।"প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লির মেয়র নির্বাচনে আপ সরে দাঁড়ায়। ফলে সহজেই নির্বাচনে জিতে মেয়র হন রাজা ইকবাল সিং। ফলে দিল্লিতে এখন কার্যত বিজেপির ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার চলছে-কেন্দ্র, রাজ্য, পৌরসভা।

কেজরিওয়ালের উত্থান ও পতন

দেশের রাজনীতিতে ধুমকেতুর মত উত্থান হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চে কয়েকটা দিন আন্দোলন করেই কোনও মূলধারার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এরপর দিল্লিতে বিজেপি, কংগ্রেসকে ভোটে বারবার ধরাশায়ীও করেছিল আম আদমি পার্টি। দিল্লির পর পঞ্জাবেও তৈরি হয়েছিল আপ সরকার। কিন্তু বছর দশেক দিল্লিতে রাজত্ব করার পর, বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়ে দেশের রাজনীতিতে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে কেজরিওয়াল। গত বছরের শেষে হওয়া দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪৮টি আসনে জিতে ২৭ বছর পর ক্ষমতায় আসে, আর মাত্র ২২টি আসন জিতে ধরাশায়ী হয় আপ। কেজরিওয়াল নিজের আসনেও হেরে গিয়েছিলেন।

২০২৭ পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন কেজরির কাছে অ্যাসিড টেস্ট

এখন পঞ্জাবেও আপ সরকারের হাল খুবই খারাপ। দলের এমন কঠিন সময়ে কেজরি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ান বা আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কি না সেটাই দেখার। ২০২৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন আর তারপর ২০২৯ লোকসভা নির্বাচন এখন কেজরিওয়ালের কাছে অ্যাসিড টেস্ট।