এই সেই ভিডিও(Photo Credit: ANI)

ম্যাঙ্গালোর, ২৬ সেপ্টেম্বর: ভারত ‘হিন্দু রাষ্ট্র’, এখানে মুসলমানদের থাকা উচিত নয়। এই মন্তব্য করে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে বেধড়ক মারধর খেলেন এক ব্যক্তি। বুধবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের এক জনপ্রিয় শপিংমলে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মঞ্জুনাথ, তিনি পেশায় একজন এলআইসি এজেন্টে। ওই শপিং মলে দাঁড়িয়েই মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজক কথাবার্তা বলছিলেন তিনি। এদিকে শপিংমলে ঘুরতে আসা দুই মুসলমান যুবকের কানে যায় সেসব বার্তালাপ। মুসলমানরা যেন ভারত ছেড়ে চলে যায়, তাই নিয়েই নিজের মতা জানাচ্ছিলেন মঞ্জুনাথ। অন্যদিকে শ্রোতা দুই যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়ে যায়। দুজনের সঙ্গে এক কিশোরও ছিল। একটা সময় পর বাদানুবাদ হাতাহাতিতে পৌঁছায়।

পরে শুরু হয় মারধর, শপিংমলের মেঝেতেই মঞ্জুনাথকে ফেলে মারতে থাকে তিনজনে। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের মারামারি থামায় পরস্পরকে নিরস্ত করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার এটকি ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়াতে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে সংবাদ মাধ্যমকে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। এই মর্মে ম্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার পিএস হর্ষ সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন যাতে এই খবরটিকে খুব বেসি হাইলাইট করা না হয়। নাহলে এহেন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়কে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগে যেতে পারে। সাধারণ আইনে যাতে মামলাটি রুজু হয় সেদিকেও দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন-৩৭০-এর অবলুপ্তির পর কেন কাশ্মীরি ছাত্রদের আলোচনায় ডাকছে, যোগী আদিত্যনাথের আমন্ত্রণে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে এএমইউ

এদিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে তিন অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। এরা হল মহিনউদ্দিন সাফওয়ান, আবদুল রহিম দুজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তৃতীয়জন নাবালক হওয়ায় তার বিচার হবে জুভেনাইল আদালতে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা ম্যাঙ্গালোর জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পুলিশ।