Pralhad Joshi: বিদেশে ডাক্তারি পড়াদের ৯০ শতাংশ ভারতে যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় না: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী
Union Minister Pralhad Joshi (Photo: Twitter)

নতুন দিল্লি, ২ মার্চ: "যারা বিদেশে ডাক্তারি (Medicine) পড়েন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভারতে যোগ্যতা পরীক্ষায় (Qualifying Exam) উত্তীর্ণ হতে পারেন না।" গতকাল এই মন্তব্য করলেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Union Minister Pralhad Joshi)। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে ভারতীয় পড়ুয়ারা কেন ডাক্তারি পড়তে বিদেশে যাচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক করার এটি সঠিক সময় নয়। যারা বিদেশে ডাক্তারি পড়েন, ভারতে ফেরার পর তাঁদের প্র্যাকটিস করতে ফরেন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটস পরীক্ষায় (FMGE) পাস করতে হয়। যদিও এই পরীক্ষায় পাসের হার খুবই কম।

জোশীর মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্র ইউক্রেনে আটকে পড়ে আছেন। তাঁদের উদ্ধারে বিমান চালাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো-সহ কয়েকটি বিমান সংস্থা। উদ্ধার অভিযানে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানও। আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না, হেনস্থা করা হচ্ছে। কয়েকজনকে ট্রেন থেকে ফেলেও দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিভ, খারকিভ (Kharkiv) থেকে পশ্চিমে লাভিভ (Lviv), ডাক্তারি পড়ার জন্য ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ভারতীয়দের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই। ইউক্রেন ছাড়াও রোমানিয়া (Romania) এবং বুলগেরিয়ার (Bulgaria) মতো অন্যান্য পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতেও ডাক্তারি পড়তে যায় ভারতীয় ছাত্ররা। তবে, এই দেশগুলির কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পরে ভারতে প্র্যাকটিস করা সহজ নয়। যারা বিদেশি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হন, তাঁদের সকলকে ভারতে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার আগে লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে হয়।

তবে, এই দেশগুলির কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পরে ভারতে প্র্যাকটিস করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যারা বিদেশি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হয়েছে, তাদের সকলকে ভারতে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার আগে লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে হবে। সেটি হল ফরেন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটস একজামিনেশন (Foreign Medical Graduates Examination)।

ন্যাশনাল বোর্ড অফ একজামিনেশন (National Board of Examination) ভারতে এই পরীক্ষাটি নেয়। ২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৬.৪৮ শতাংশ পাস করেছিল। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়া ছাত্রদের মাত্র ১৬.৬ শতাংশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিল। হাজার হাজার মেডিকেল স্নাতক রয়েছেন যারা এখনও এই পরীক্ষাতে পাস করেননি।