সোপোর, ২৮ অক্টোবর: এই দীপাবলির মরশুমেই উপত্যকায় গ্রেনেড হামলা, এর জেরে প্রায় ৯ জন বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপোর (Sopore) এলাকায়। জঙ্গিরা এই গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে বলে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও এই হামলায় কারওর মত্যুর খবর নেই। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এদিকে গ্রেনেড হামলায় আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উপত্যকায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সফরের ঠিক আগের দিন এই গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
এদিকে সোমবার দিল্লিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (European Union (EU)) প্রতিনিধিরা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করে। কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা ও ৩৭০ ধারার গতিপ্রকৃতি নিয়ে দুজনের সঙ্গে বিশদ আলোচনায় বসে প্রতিনিধি দলটি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৫-এর এ, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ অধিকার খর্ব করার পর এনিয়ে পাঁচ নম্বর হামলাটি ঘটল আজ সোমবার। গত ২৬ অক্টোবর শনিবার সিারপিএফ জওয়ানদের একটি টহলদার বাহিনীর উপরেও হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ছয়জন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। আরও পড়ুন-Shiv Sena Slams Modi Govt:আদিত্য ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হোন এটাই চাইছে মহারাষ্ট্র, ক্ষমতার রাশের মালিকানা নিয়ে বিজেপি শিবসেনার জোর লড়াই
চলতি মাসের প্রথমদিকে এমনই এক গ্রেনেড হামলায় শ্রীনগরে অন্তত আটজন আহত হন। পরে তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন হরি সিং রোডের উপরেই লালচক থেকে কয়েকশো মিটার দূরে এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের একের পর এক হামলার ছক কষে চলেছে অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিরা। সীমান্তের ওপারে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে পর্যুদস্ত করতে তৎপর পাক সেনা ও জঙ্গিরা। তবে তাংধারের ওপারে হামলা চালিয়ে সেই জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই হামলায় জনা দশেক পাক সেনা ও জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।