প্রকাশ জাভড়েকর (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৩ অক্টোবরশুধুমাত্র বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এর সংযুক্তিকরণই নয়, সেই সঙ্গে রাজধানীর কলোনিতে (unauthorized colonies) বসবাসকারী ৪০ লক্ষ পরিবারকে জমির মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার (Union Cabinet) বৈঠক বসে, সেখানেই দিল্লির কলোনির বাসিন্দাদের ঠিকানা দেওয়ার প্রস্তবাটি গৃহীত হয়েছে। ২০২০-তেই রাজধানীতে বিদানসবা নির্বাচন ঠিক তার আগে ঘর গোছাতে নেমে পড়ল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এমন মতামত হলেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। তিনি বলেন  মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই।

জানা গিয়েছে, খুব শিগগির দিল্লির কলোনি এলাকায় বসবাসকারী ৪০ লক্ষ পরিবারের হাতে জমির মালিকানার পাট্টা তুলে দেওয়া হবে। এদিকে কলোনিবাসীদের জমির মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। অর্থাৎ যে সব বাসিন্দা সরকারি খাস জমিতে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছেন, তাঁদের পাকাপাকি মালিকানা দিয়ে দেবে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ দিন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। হরদীপ পুরী (Union Minister Hardeep Puri) বলেন, ‘‘সরকারি হোক বা বেসরকারি, সবাইকে মালিকানা স্বত্ব দেওয়া হবে।’’ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, প্রগতিশীল ও বৈপ্লবিক’ বলেন তিনি। সঅন্যদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের জবাব, আমরা যে পারি তাই দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখানে কোনওরকম রাজনীতির প্রসঙ্গ নেই কলোনিতে বসবাসকারী মানুষদের সুস্থ জীবন যাপনের বন্দোবস্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে পানীয় জল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা, সঠিক নিকাশি, পার্ক, চওড়া রাস্তা সব তৈরি হবে। আরও পড়ুন-লাভের মুখ দেখতে এবার জুড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল

শুধু ঘরহারাদেরই নয়, চাষীদেরও লাভের মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গম, ডাল, সর্ষে, তিন-সহ সমস্ত রবিশষ্যের উপরে যে ন্যূনতম সহায়কমূল্য রয়েছে তা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে। রবিশস্যের চাষ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। আর দু’-তিন মাসের মধ্যেই উঠতে শুরু করবে ফসল। বৈঠক সূত্রে খবর, ফসলভিত্তিক ৫০ থেকে ১০৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ফসলের সহায়ক মূল্য।