Representational Image (Photo Credits: File Image)

হায়দরাবাদে (Hyderabad) দিনকয়েক আগেই ফাঁকা ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকা রক্তাক্ত দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে মৃতের পরিবার, বাড়ির মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় পুুলিশের। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত মাত্র ১৪ বছরের এক নাবালক। শুক্রবার তাঁকে স্কুল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে খুনের ব্যবহৃত ছুরি, রক্তাক্ত পোশাক ও একটি হাতে লেখা নোট। জানা যাচ্ছে, চুরি করা এবং কাউকে হামলা করার জন্য কিশোরটি অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আর সেই পয়েন্টগুলি কাগজে লিখে নিয়ে ঘটনাটি ঘটায় অভিযুক্ত।

দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিল অভিযুক্ত

জানা যাচ্ছে, গত ১৮ অগাস্ট সন্ধ্যের দিকে ঘটনাটি ঘটে হায়দরাবাদের সাইবারবাদ থানা এলাকার কুকাতপল্লীতে। পুলিশসূত্রে খবর, বাবা-মা-দাদার সঙ্গে বছর দশেকের নাবালিকা ওই এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দিন তিনজনে কোনও কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বাইরে থেকে তাঁদের বেরোনোর অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত। এরপর লক খুলে নাবালিকার দাদার ব্যাট চুরি করে সে। অন্যদিকে ওই কিশোরকে দেখে চিৎকার করে ওঠে বাচ্চা মেয়েটি।

প্রাথমিক সন্দেহ হয় মৃতের পরিবারের ওপর

তখন তাঁর ওপর পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্ত। ১৮ বার ছুরি দিয়ে কোপানোর পর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলিও কেটে দেয় সে। এরপর ঘরের মধ্যেই রক্তাক্ত জামাকাপড় পরিবর্তন করে সবকিছু ব্যাগে করে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরিবারের সদস্যরা ঘরে ফিরে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে্ পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। প্রথমে বাড়ির মালিক বা পরিবারের সদস্যকেই সন্দেহ করা হয়। তবে তদন্ত চলাকালীন মৃতার দাদা নিখোঁজ ব্যাটের বিষয়ে তদন্তকারীদের জানান।

গ্রেফতার অভিযুক্ত

তারপরেই ঘটনার বিশদে তদন্ত করে প্রতিবেশী কিশোরকে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়। শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরে সে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। জেরায় সে জানায়, কীভাবে দরজার তালা ভেঙে চুরি করতে হয়, কেউ বাধা দিলে কীভাবে খুন করতে হবে, সেই সমস্ত কিছু অনলাইনে শিখেছিল দশম শ্রেণির ওই নাবালক। ইতিমধ্যেই চুরি যাওয়া ব্যাট, খুনের সরঞ্জাম ও হাতে লেখা নোট ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।