ভোপাল, ২৯ ডিসেম্বরঃ দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা পর যখন বালককে উদ্ধার করা হয় কুয়ো থেকে ততক্ষণে সব শেষ। উদ্ধারকাজের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কুয়ো থেকে বছর দশেকের বালক সুমিতকে উদ্ধারের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল গ্রামবাসী। সকলের মনে আশা, বেঁচে আছে সে। কিন্তু সেই আশা বেশিক্ষণ বাঁচল না। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলার রাঘোগড়ের পিপলিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে গভীর কুয়োয় পড়ে যায় দশ বছরের সুমিত। পা পিছলে গিয়ে ঘটে কেলেঙ্কারি কাণ্ড। বালকের কুয়োর মধ্যে পড়ে যাওয়ার খবর হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় গুনার জেলাশাসক, পুলিশ। বালককে উদ্ধার কাজে আনা হয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কুয়োর ৪০ ফুট গভীরে আটকে ছিল সুমিত। সারা রাত ধরে চলে উদ্ধারকাজ। তার নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্যে পাঠানো হচ্ছিল অক্সিজেনও। রবিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজে গতি আনে উদ্ধারকারী দল। এলাকায় ক্রমে জড়ো হয় গ্রামবাসীরা। প্রায় ১৬ ঘণ্টা কুয়োর মধ্যে আটকে থাকার পর অবশেষ সকাল ৯টা নাগাদ সুমিতকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বালককে কুয়োর মধ্যে থেকে বের করে আনতে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন গ্রামবাসী।
উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি সুমিতকে গুনা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় যাওয়া হয়। তখনও তাঁর শরীরে প্রাণ আছে বলেই আশা করেছিল বালকের পরিবার এবং গ্রামবাসী। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে।