উস্তাদ জাকির হুসেনের (Zakir Hussain) প্রয়াণে যেন কয়েক মুহূর্তের জন্যে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বের সঙ্গীতজগৎ। রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কিংবদন্তি তবলাবাদক জাকির হুসেন। মৃত্যুকালে সঙ্গীতজ্ঞের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। সোমবার সকালে শিল্পীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসের (Idiopathic Pulmonary Fibrosis) জটিলতার কারণে মৃত্যুর হয়েছে জাকির হুসেনের।
মৃত্যুর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তবলাবাদককে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু তাঁর পিছু ছাড়ল না। চলে গেলেন জাকির হুসেন। তবে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর পর ফুসফুসজনিত রোগ ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস বা আইপিএফ (IPF) নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কী এই ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস? কীভাবে সংক্রমণ ঘটায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, ফুসফুস এবং রক্ত ইনস্টিটিউট (NIH) জানাচ্ছে, এটি একটি গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ। যা অঙ্গের বায়ু থলি বা অ্যালভিওলির চারপাশের টিস্যুগুলিকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাবিত করে। এর ফলে ফুসফুসের টিস্যু ঘন এবং শক্ত হয়ে যায়। যত সময় যায় ফুসফুসের উপর এটি দাগ বা ফাইব্রোসিস তৈরি করে। এই ফাইব্রোসিস ফুসফুসের রক্তপ্রবাহে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষমতাকে হ্রাস করে। যা পরবর্তীকালে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইপিএফের ক্ষেত্রে, অ্যালভিওলির চারপাশের টিস্যুগুলি ঘন হয়ে যাওয়ার ফলে রক্তে অক্সিজেনের প্রবেশ কঠিন করে তোলে।
ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তি কিংবা আইপিএফ-এর পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কাদের?
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইপিএফ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বেশিরভাগ মানুষ ৬০-৭০ বছরের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হন।
- ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে এমন ব্যক্তিরদের মধ্যে আইপিএফ-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
- ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি আক্রান্ত হন, এমনটাই জানাচ্ছে এনআইএইচ (NIH)।
- অন্যদিকে যে সমস্ত ব্যক্তির পরিবারে আইপিএফ-এ আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।