Zubeen Garg Movie Roi Roi Binale : বিন গর্গকে ভুলছে না অসম। মৃত্যুর মাস দেড়েক পরেও জুবিন যেন বেঁচে রয়েছেন অসমবাসীর মনে। সেটা আরও বেশি করে বোঝা যাচ্ছে তাঁর অভিনীত শেষ সিনেমা মুক্তির পর। মৃত্য়ুর পর তাঁর শেষ সিনেমা নিয়ে জুবিন আবেগের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ভূপেন হাজারিকার রাজ্য। সেই আবেগে ভর করে জুবিন গর্গের শেষ সিনেমা 'রই রই বিনালে'(ROI ROI BINALE) অসম সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বক্স অফিস হিটের তকমা পেয়ে গলে। অসমীয়া ভাষার এই সিনেমা (ৰৈ ৰৈ বিনালে) মুক্তির দিন দুয়েকের মধ্যেই সাড়ে ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। অসমে এর আগে কোনও সিনেমা এত টাকার ব্যবসা করেনি বলে দাবি। জুবিনের 'রই রই বিনালে'-কে নিয়ে অসমের পাশাপাশি উত্তর পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেও ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কলকাতার সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া জুবিনের এই সিনেমা বেশ সাড়া ফেলছে। গত, ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে প্রয়াত হন জুবিন গার্গ। এই ছবিতে তার মূল কণ্ঠ বজায় রাখা হয়েছে, শুধু প্রয়োজনীয় স্থানে সামান্য AI-সহায়তায় অডিও পুনর্গঠিত হয়েছে। ছবিতে তিনি মরণোত্তর প্রযোজক হিসেবেও কৃতিত্ব পেয়েছেন। জুবিনের এই সিনেমায় রয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভিক্টর ব্য়ানার্জিও।
ছবির গল্প নিজেই লিখেছিলেন জুবিন
অসমিয়ার ইতিহাসে নতুন অধ্যায় তৈরি করে জুবিনের এই সিনেমা প্রথম দিনেই ভাঙল সব রেকর্ড। ভারতজুড়ে মুক্তির প্রথম দিনেই এই ছবি আয় করেছে ২.৬০ কোটি, আর বিশ্বব্যাপী মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি টাকা। যা এখন পর্যন্ত প্রথম দিনে বক্স অফিসে ব্যবসার নিরিখে অসমিয়া চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ আয়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রাজেশ ভুঁইয়া, ছবির গল্প জুবিন নিজেই লিখেছিলেন।
দেখুন ভিডিও
Zubeen's last Gift "Roi Roi Binale"
Teared and shocking when you realise the person who's entertaining in the screen is no more
A big shout out to Archujya His debut is phenomenal
Please do watch the movie as a tribute to our legend #Zubeen #roiroibinale #JusticeForZubeenGarg pic.twitter.com/XXtmOP6Cgq
— Nilanjana Baruah (@anonshana__) November 1, 2025
ছবির গল্প কী নিয়ে
"রই রই বিনালে" সিনেমাটির গল্প একজন সংগীতশিল্পীর আশা, স্বপ্ন এবং সংগ্রামের চারপাশে গড়ে উঠেছে। গল্পে একটি ছোট্ট শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা। যেখানে সংগীতশিল্পী তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে প্রেম, পরিচয় এবং শান্তি খোঁজেন।সিনেমাটি আসামের একটি অঞ্চলকে পটভূমি হিসেবে নেয়, সন্ত্রাসবাদের ক্ষতের পর থেকে পুনরুদ্ধারের পথে। এই প্রেক্ষাপটে, সংগীতশিল্পীর জীবনের সংগ্রাম এবং তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে সমাজের উন্নতির প্রচেষ্টা দেখানো হয়। গল্পের মূল প্রশ্ন হল, "শিল্পকলা কি শিল্পীর জন্য, না সমাজের জন্য?" এই প্রশ্নটি চরিত্রগুলির জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলে।
গুয়াহাটির সব হল হাউসফুল
অসমজুড়ে ছবিটির শোগুলোতে দেখা গিয়েছে ৯৮ শতাংশ আসন ভরে গিয়েছে। রাজধানী গুয়াহাটি সহ বিভিন্ন স্থানে ১০০% হাউসফুল। অনেকেই এই সিনেমা দেখতে দেখতে কেঁদে ফেলছেন। গত ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার মুক্তি পাওয়া জুবিনের এই ছবিটি ভারতের ৪৬টি শহরে প্রদর্শিত হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন মেট্রো শহরে। এর আগে দেশের যে সব রাজ্যে কখনও অসমীয়া সিনেমা দেখানোই হয়নি, সেখানের সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্সগুলি চলছে জুবনের এই সিনেমা ।
এই সিনেমাপ জুবিন গার্গের সুর করা ১৫টিরও বেশি গান রয়েছে। জুবিনের ছবিটির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে অসমে অন্য সব ছবির প্রদর্শন সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। এমনকি ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’, ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’-এর মতো বড় রিলিজও । মোট ৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি মুক্তির আগেই ৫০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে।