মহাশিবরাত্রিতে উৎসবের আমেজে দেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ছিল বলিউডের দুটো বড় বাজেটের সিনেমা দেখার সুযোগ। কার্তিক আরিয়ানের শেহজাদা-র সঙ্গে চলছে চতুর্থ সপ্তাহে পড়া শাহরুখ খানের পাঠান। বক্স অফিসের হিসেব বলছে, শাহরুখের পাঠান-এর ঝড়ের রেশ এখনও আছে। আর কিং খানের কাছে শেহজাদা ফকির।
গতকাল, শনিবার শিবরাত্রিতে কার্তিক আরিয়ান-কৃতি শ্যাননের শেহজাদা দেশজুড়ে মোট ৬ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে। তার মানে রিলিজের পর শেহজাদা বক্স অফিসে মোট ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করল। তার মানে শেহজাদা- হিট হওয়ার আশা আর প্রায় থাকলই না। অথচ ন্যাশানল চেনের মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে একটা টিকিট কিনলে শেহজাদা-র আরেকটা টিকিট ফ্রি পাওয়া যাবে, এমন লোভনীয় অফারও ছিল। আজ, রবিবার অপ্রত্যাশিতভাবে রেকর্ড ব্যবসা না করলে কার্তিক আরিয়ানের এই সিনেমা ফ্লপ হবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রিলিজের দিন শেহজাদা দেশজুড়ে মাত্র ৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। প্রচারের পিছনে অনেক টাকা খরচ করেও এত কম টাকার কালেকশনে হতাশ শেহজাদা-র প্রযোজনা সংস্থা। আরও পড়ুন-হেঁশেলে হাত পাকল বরুণ ধাওয়ানের, মহাশিবরাত্রিতে বানিয়ে ফেললেন হালুয়া
এদিকে, রিলিজের পর চতুর্থ সপ্তাহ হয়ে গেল তবু পাঠান-এর ঝড়ের রেশ আছে। গতকাল, শনিবার পাঠান ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করল। টিকিটের দাম কমিয়ে দেওয়ার পর আরও বেশী সংখ্যাক দর্শক পাঠান দেখতে যাচ্ছেন। নতুন দর্শকদের পাশাপাশি, যারা এই সিনেমা একবার দেখে ফেলেছেন, তারও ফের পাঠান দর্শনে হলমুখি। যশরাজ ফিল্মের স্পাই থ্রিলার শুক্রবার ব্যবসা করেছিল ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার। গত ২৫ ডিসেম্বর রিলিজের পর থেকেই বক্স অফিসে পাঠান ঝড় চলছে। বক্স অফিস সাফল্যের বিষয়ে শাহরুখের পাঠানই এখন সবচেয়ে সফল সিনেমা।
সাম্প্রতিক কালে আর কোনও বলিউড ছবি চতুর্থ সপ্তাহে এসেও এত টাকার ব্যবসা করতে পারেনি। হিসেব বলছে, দেশজুড়ে হিন্দি ভাষার পাঠান-৪৯৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে ফেলল। হিন্দি-র পাশাপাশি তামিল, তেলেগুতেও পাঠান রিলিজ করেছে। সেইসব ভাষা ধরলে অনেক আগেই দেশের বক্স অফিসে ৫০০ কোটি টাকার মাইলস্টোন গড়ে ফেলেছে শাহরুখের এই সিনেমা। বিশ্বব্যাপী পাঠানের ব্যবসাও হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি আছে।