San Rechal (Photo Credit: Instagram)

দিল্লি, ১৪ জুলাই: ফের মৃত্যু জনপ্রিয় মডেলের (Model Death)। এবার জনপ্রিয় মডেল তথা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার স্যান রেচলের (San Rechal Suicide) মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। রবিবার পুদুচেরিতে (Puducherry) মৃত্যু হয় স্যান রাচেলের। কী কারণে সদ্য বিবাহিত মডেল তথা জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।

২৬ বছর বয়সী স্যান রেচল সম্প্রতি নিজের গয়নাগাটি বিক্রি করে দেন বলে জানা যায়। জীবনধারনের জন্য নাকি প্রফেশনাল কমিটমেন্ট পূরণের জন্য স্যাল রেচল নিজের গয়নাগাটি বিক্রি করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।

খুব কম বয়সেই নিজেকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যান স্যান রেচল...

 

 

View this post on Instagram

 

আরও পড়ুন: Actress Humaira Asghar Ali Death: কীসের জালে জড়িয়ে অভিনেত্রীর নির্মম মৃত্যু? ঘরের কোণে পড়ে থেকে পচল দেহ, খোঁজ নিল না কেউ, ভাইরাল মৃত্যুর আগে বন্ধুকে পাঠানো নায়িকার শেষ ভয়েস মেসেজ

স্যাল রেচল কয়েকদিন আগে বাবার বাড়িতে যান। বাবার বাড়িতে গিয়েই রেচল একের পর এক ওষুধ খেতে শুরু করেন। ওই ট্যাবলেটই কি স্যান রেচলের প্রাণ কাড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্যান রেচলকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তবে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। বাবার সঙ্গে বিবাদের জেরে নিজের জীবন স্যান রেচল শেষ করে দিতে পারেন বলেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে।

আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন স্যান রেচল?

তদন্তকারীরা জানাতে পেরেছেন, স্যান রেচল অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছিলেন। ফলে বাবার কাছে সাহায্য চান স্যান। তবে বাবা মুখ ফিরিয়ে নেন। তিনি স্যান রেচলকে আর্থিক দিক থেকে কোনও সাহায্য করতে পারবেন না বলে জানান। এরপরই জনপ্রিয় ওই মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার আত্মহত্যার পথে বেছে নেন বলেই প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

মৃত্যুর পর স্যান রেচলের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য স্যান কাউকে দায়ি করেননি। অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি বিবাহিত জীবনেও কি স্যান রেচলের কোনও সমস্যা চলছিল, এমন প্রশ্নও উঠছে। যাও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

স্যান রেচলের মডেলিং এবং জনপ্রিয়তাই কি প্রাণ কাড়ল?

স্যান রেচল মডেলিং শুরু করে এবং খুব কম বয়সেই পান জনপ্রিয়তা। ভারতীয় মডেলিং জগত এবং সিনেমার পর্দায় যখন ফর্সা মেয়েরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেই সময় স্যান রেচল কার্যত কাঠখড় পুড়িয়ে নিজেকে সেখানে দাঁড় করান। নিজের গায়ের রংয়ের জন্য কোনওভাবে পিছিয়ে না থেকে, সবার সম্মুখে চলে আসেন সকড়া পরিশ্রম এবং মনসংযোগ নিয়ে কাজ করে। ২০২২ সালে মিস পুদুচেরি খেতাবও জয় করেন স্যান রেচল।

পুলিশ জোর কদমে তদন্ত শুরু করেছে। স্যান রেচলের উপর কোনও ধরনের মানসিক চাপ কাজ করছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পারিবারিক ক্ষেত্রেও স্যান কতটা সাবলীল ছিলেন, তাও নজরে রয়েছে গোয়েন্দাদের।