কেদারনাথ (Kedarnath)। সারার (Sara Ali Khan) ডেব্যু ফিল্ম। বিপরীতে ছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Late Actor Sushant Singh Rajput)। ছবির শুটিং করতে করতে না কি শুটিং পরবর্তী সময়ে জানা নেই! তবে ছবির প্রমোশনাল ইভেন্ট চলাকালীন দু'জনের কেমিস্ট্রি সকলেরই নজরে এসেছিল। তবে দু'জনেই সেকথা বারবারই হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর এতদিন পর এসে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সুশান্তের বন্ধু স্যামুয়েস হাওকিপ। কিন্তু বলিউড মাফিয়াদের দাপটে তাঁদের সম্পর্কটি ভেঙে যায়। আর সেটি হয় যখন ২০১৯ সালে সুশান্তের ছবি 'সোনচিড়িয়া' (Sonchiriya) মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে।
স্যামুয়েল ইন্সট্রাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, "আমার এখনও মনে আছে কেদারনাথের প্রমোশনের সময়ের কথা...সুশান্ত এবং সারা একে অপরের ভালবাসায় ডুবে ছিলেন...তাদেরকে আলাদা করাই যেত না...তাদের ভালবাসা ছিল ভীষণ পবিত্র এবং শিশুসুলভ ব্যাপার ছিল তাদের মধ্যে। একে অপরকে সম্মান দিত। যেটা আজকালকার দিনে সচরাসচর দেখা যায়না।" শুধু এখানেই শেষ নয়, স্যামুয়েল আরও লেখেন... তিনি বলেন, "সুশান্তের প্রতিই শুধু সারার শ্রদ্ধা ছিল না। সুশান্তের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং স্টাফেদের প্রতিও সারা যথেষ্ট সম্মান করত। তবে আমি খুব অবাক হয়েছিল তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে। এত সুন্দর সম্পর্কটা কেন ভেঙে গেল, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর ছিল না। হতে পারে বলিউড মাফিয়াদের চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল সারা।" পোস্টটির কমেন্টে 'পবিত্র রিস্তা'-র পরিচালক কুশল জাভরি কমেন্ট করেন। তিনি লেখেন, "কাউকে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতেই হত।" স্যামুয়েলের পোস্ট এবং কুশলের কমেন্ট থেকে এটি স্পষ্ট। সুশান্ত এবং সারার মধ্যে ছিল গভীর এক সম্পর্ক।
সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা' মুক্তির দিন সারা নিজের ইনস্টাগ্রামে সইফ এবং সুশান্তের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিটিতে সইফ আলি খান ছিলেন একটি ক্যামিও রোলে। তিনি লিখেছিলেন, "আমার জীবনের একমাত্র এই দু'জন পুরুষ যারা স্যাত্রেঁ, ভ্যান গফ, টেলিস্কোপ, নক্ষত্রমণ্ডল, গিটাক, সুমেরু প্রভা, ক্রিকেট, পিঙ্ক ফ্লয়েড,নুসরত সাহাব এবং অভিনয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন।"