Sushant Singh Rajput Case: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সলিয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
Disha Salian (Photo Credits: File Image)

দিশা সলিয়ানের মৃত্যুর সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর আদৌ কী কোনও যোগসাজস রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ দিশা সলিয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন কয়েক পরেই সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত মৃতদেহ। এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। দাবি করা হচ্ছে, সুশান্ত সিং রাজপুত এবং দিশা সলিয়ানের মৃত্যু একই সুতোয় গাঁথা। উকিল বিনীত ধান্দা এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। দিশা সলিয়ানের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র মুম্বই পুলিশের কাছে চেয়েছেন বিনীত। এই সমস্ত রিপোর্ট উচ্চ আদালতের কাছে পেশ করা হবে খুব শীঘ্রই। যদি আদালত মনে করে যে, তদন্তের নথিপত্র সঠিক নেই। তাহলে দিশা সলিয়ানের মৃত্যুর তদন্তের ভার উঠে আসবে সিবিআইয়ের হাতে।

মুম্বইয়ের মালাড ওয়েস্টে রিজেন্ট গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দিশার। ঘটনাটি ঘটেছিস ৮ জুন। তার ঠিক ১ সপ্তাহ পরে ১৪ জুন বান্দ্রায় সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। প্রসঙ্গত, দিশার বয়ফ্রেন্ড ছিলেন রোহন রাই। টেলিভিশন ধারাবাহিকে অত্যন্ত পরিচিত মুখ রোহনের। লকডাউন মিটলেই বিয়ে করার কথা ছিল রোহন দিশার। জনস্বার্থ মামলায় জানানো হয়েছে, দুই পরিবারের তরফেই এই সম্পর্কে সম্মতি ছিল। লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন দিশা-রোহন। কারণ এরপরই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরিকল্পনা মত রিজেন্ট গ্যালাক্সিতে ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন তাঁরা। দিশার মৃত্যুর পর দুই পরিবারের তরফে এই তথ্যই দেওয়া হয়েছিল মুম্বই পুলিশকে।

দিশার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য বিহার পুলিশ মুম্বইয়ের মালওয়ানি পুলিশ স্টেশনে যান সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, থানার তরফ থেকে জানানো হয়েছে দিশা সলিয়ানের মৃত্যুর তদন্তের সমস্ত নথিপত্র কম্পিউটার থেকে ডিলিট হয়ে গেছে ভুলবশত, যা ফিরিয়ে আনা আপাতত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বিহার পুলিশ সাহায্যের হাত বাড়ালেও তাতে সম্মতি দেয়নি মুম্বই পুলিশ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেও পরবর্তী সময়ে একটি ফোন কলের জন্য তিনি নিজের মত পুরোপুরি পাল্টে নেন বলে দাবি করা হচ্ছে। জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।