অনুরাগ কাশ্যপ এবং নরেন্দ্র মোদি( File Photo)

মুম্বই, ২২ মে:  জয় পেয়েছে ২৪ ঘণ্টা কাটেনি, ক্ষমতার ছাড়পত্র মিলতেই খেল দেখাতে শুরু করল গেরুয়া সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হল ধর্ষণের হুমকি। আমার আপনার মতো রাম শ্যাম যদু মদুর বাড়ির মেয়ে নয়, ধর্ষণের হুমকি পেলেন বলিউডের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের( Anurag Kashyap) মেয়ে আলিয়া কাশ্যপ(Aaliya Kashyap)।

কৃষক অসন্তোষ থেকে জিএসটি-র গেরো সব ভুলে গিয়ে ফের মোদিকে দিল্লির সিংহাসনে বসিয়েছে ১৩০ কোটির ভারতবর্ষ। তবে তাতে কি, ক্ষমতা পেয়েই প্রতিবাদীদের উপরে শুরু হয়ে গিয়েছে আক্রমণের পালা। পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ নরেন্দ্র মোদিকে পছ্ন্দ করেন না। এ তথ্য সবারই মোটামুটি জানা, কেননা প্রকাশ্যে অপছন্দের বিষয়টি বার বার উল্লেখ করেছেন অনুরাগ। ভোট সামনে ছিল, জনসমর্থন পেয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরা জরুরি ছিল। তাই অপছন্দকারীকে যোগ্য জবাব দিতে পারেনি মোদি বাহিনী। ইমেজ নষ্ট হলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিপাকে পড়বে, ফল ভুগবে ভোট ব্যাংক। তাই ২৩ তারিখ বেলা গড়াতেই ৩০০-র কোটা মোদিবাহিনীকে জাগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গেই আলিয়া কাশ্যপের কাছে চলে এল অপমানজনক টুইট। মোদি সমর্থক হিসেবেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে হবে, কেননা তার নামের সঙ্গে চৌকিদার জুড়ে আছে। নাম চৌকিদার রামসঙ্ঘী(Chawkidar Ramsanghi), সে আলিয়াকে উদ্দেশ্য করে কুরুচীকর টুইটটি করেছে। তাতে লেখা, ‘জয় শ্রী রাম। বাবাকে মুখ বন্ধ রাখতে বল। না হলে…।’ এই টুইট দেখেই আতঙ্কিত অনুরাগ তা শেয়ার করে লিখেছেন,  ‘নরেন্দ্র স্যার, (Narendra Modi) এই বিপুল জয়ের জন্য আপনাকে অভিনন্দন…।’  দয়া করে বলবেন, আমি আপনার অনুগামী নই বলে, আপনার জয় সেলিব্রেট করতে এই ধরনের সমর্থক, যারা অকথ্য ভাষায় আমার মেয়েকে আক্রমণ করছে, তাদের কী ভাবে সামলাব?’

অনুরাগ মোদির সমর্থক নন, কিন্তু তাই বলে তাঁকে আক্রান্ত হতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় এই ঘটনা কখনওই কাম্য হতে পারে না। যদিও বি-টাউনের একাংশের দাবি, জয় পেয়েই বিরোধীদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির ঘুঁটি সাজাবে না মোদি বাহিনী। এই টুইটটি আসলে ফোটোশপ, মোদির জয়কে কালিমালিপ্ত করতে কোনও আর্বান নকশাল এই কাজ করেছে। যদিও পরিচালক অশোক পণ্ডিতের এই যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় জিতে যে বলিউডকেই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু করবে তা একপ্রকার নিশ্চিত হিসেবেই মনে করছে নেটিজেনরা। নরেন্দ্র মোদি কীভাবে অনুরাগকে সাহায্য করেন, এখন সেটাই দেখার।