ছত্তিশগড়, ১৫ জানুয়ারি: ছোট মেয়ের নাম রেখেছেন দীপিকার নামে, তিনি অভিনেত্রীর অনুরাগী। জেএনইউ-র ঘটনায় অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের সমালোচনায় যখন ব্যস্ত বিজেপি নেতৃত্ব, তখন উল্টো সুর শোনা গেল বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) গলায়। তিনি বললেন, “আমি দীপিকার খুব বড় ভক্ত। ওঁর উপরে যে কোনও রকম আক্রমণের নিন্দা করছি।” শোনা যায়, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দীপিকা সেদিন যাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরাই অভিযুক্ত হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে মোটেই এমনটা বলেননি বাবুল। বরং তিনি নিন্দা করেন দীপিকার বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের। সম্প্রতি জেএনইউ-এর প্রহৃত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে সবরমতী হস্টেলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। সেখানে গিয়ে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসেন তিনি।
এরপরেই তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তোপ দাগেন, “দেশদ্রোহীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দীপিকা।” নিজের আসন্ন ছবির সুচারু প্রচার পদ্ধতির দিকে আঙুল তুলেও আক্রমণ শানান কেউ কেউ। ফিল্ম ‘ছপাক’ বয়কট করার দাবিও ওঠে অনলাইনে। দীপিকার বিরুদ্ধে কুকথায়, ট্রোলে ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। বিজেপি নেতৃত্ব যখন দীপিকা বিরোধী হাওয়ায় সরব তখন ছত্তিশগড়ে গিয়ে অভিনেত্রীর পাশেই দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, এই আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে নানা রকম অপপ্রচারে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নিপীড়িতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন। বিরোধিতা করে যা হচ্ছে তা অর্থহীন ও বেআইনি। আরও পড়ুন-Jagdeep Dhankar: অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু অস্ত্র, একি বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর?
স্বভাবতই দীপিকার প্রসঙ্গ উঠলে বাবুল বলেন, “আমি তাঁর খুব বড় অনুরাগী। এমনকি ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ দেখার পরে আমি দীপিকার চরিত্র দেখেই ছোট মেয়ের নাম রাখি নয়না। কেউ যদি দীপিকার বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা বলেন, আমি তার নিন্দা করছি। ওঁর বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা ব্যবহার করা উচিত নয়।”