সরোজ খান (Photo Credit: File Image)

প্রয়াত বলিউডের কোরিওগ্রাফার সরোজ খান (Saroj Khan)। বি-টাউনের মৃত্যু মিছিল ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। ৩ জুলাই শুক্রবারের ভোরও বয়ে নিয়ে এল দুঃখের খবর। রাত একটা বেজে ৫২ মিনিটে মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই চলে গেলেন সরোজ খান। গত ১৭ জুন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে বান্দ্রার এই হাসপাতালে ভর্তি হন প্রবীণ কোরিওগ্রাফার। সেখানেই পৃথিবার মায়া ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছি ৭১ বছর। চিকিৎসকরা জানিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই পৃথিবী ছাড়লেন সরোজ খান। গতমাসে অসুস্থ অবস্থায় সরোজ খান যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তখনই অনুরাগীরা উদ্বেগে ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে তাঁর শরীর সুস্থ হচ্ছিল, এমনটাই জানান চিকিৎসক অনুভব সিনহা।

সরোজ খানের শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবর পেয়ে সাময়িক ভাবে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন অনুরাগী, পরিজন, শুভাকাঙ্খীরা। তবে শেষরক্ষা হল না লকডাউনের বাজারে বলিউডের মৃত্যু মিছিলে তিনিও শামিল হলেন। রেখে গেলেন স্বামী সোহনলাল, দুই মেয়ে হিনা খান ও সুকন্যা খান এবং এক ছেলে হামিদ খানকে। আরও পড়ুন-Coronavirus In West Bengal: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬৪৯, মৃত্যু ১৬ জনের

১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ সিনেমায় স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে মুম্বইতে কেরিয়ার শুরু করেন সরোজ খান। টানা চার দশক ধরে বলিউডি ছবিতে কোরিওগ্রাফারের ভূমিকায় ছিলেন। অন্তত ২ হাজার গানে কোরিওগ্রাফি করেছেন। সরোজ খানের কোরিওগ্রাফিতে সব থেকে বেশি কাজ করেছেন বলিউড ডিভা শ্রীদেবী ও মাধুরী দিক্ষীত। তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়ারানা’, ‘বেটা’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘চাঁদনি’, ‘থানেদার’ প্রভৃতি। ‘দেবদাস’, ‘শ্রীঙ্গারাম’, ‘যব উই মেট’-এর মতো ছবিতে কোরিওগ্রাফি করে তিনবার জাতীয় পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন সরোজ খান। তাঁর কোরিওগ্রাফিতে শেষ ছবি ২০১৯-এ, নাম ‘কলঙ্ক’