মারুতি সুজুকি(Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ২৭ আগস্ট: গাড়ি শিল্পে মন্দা অব্যাহত, অতিরিক্ত করের বোঝা কমাতে এবার ৩ হাজার অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল মারুতি সুজুকি। এমনকী ব্যবসায় সুদিন ফেরাতে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসে চালিত গাড়ি তৈরিতে জোর দেবে সংস্থা। এমনটাই জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব। এদিন রাজধানীতে মারুতি সুজুকির তরফে শেয়ার হোল্ডারদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা হয়, সেখানে সংস্থার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির কথা খোলসা করে বললেন চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব। সেই সঙ্গে এ-ও জানান একমাত্র সিনজি চালিত গাড়িই এই অবস্থা থেকে মারুতি সুজুকিকে মুক্তি দিতে পারে। তাই চলতি বছরেই সিএনজি চালিত গাড়ির উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়বে।

জানা গিয়েছে, সেফটি নর্মস এবং উচ্চ হারে করের ধাক্কায় গাড়ি উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। ফলে ঘাড়ে চেপেছে বোঝা। তাই অস্থায়ী ভিত্তিতে নেওয়া তিন হাজার কর্মীর চুক্তি রিনিউ বা পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। এদিকে গাড়ি শিল্পে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে উৎপাদন কমানো, ব্যায় সংকোচের পথে হাঁটছে অধিকাংশ সংস্থা। কেউ কেউ আবার বিকল্প জ্বালানি বা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির মতো নানা পদক্ষেপ করছে। এই নানা পদক্ষেপের মধ্যেই অন্যতম কর্মী সংখ্যা কমানো। সেই রাস্তায় হেঁটেই চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা ৩০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল মারুতি সুজুকি। কিন্তু ওই কর্মীদের পাওনা গন্ডা কী ভাবে মেটানো হয়েছে, কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ভার্গব। অর্থনীতির মন্দ গতির পাশাপাশি রয়েছে অ্যাপ ক্যাবের বাড়বাড়ন্ত। ওলা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবগুলি এখন সারা ভারত জুড়েই দারুণ পরিষেবা দিচ্ছে। একটা গাড়ি কিনলেই তো শুধু হয় না. তার তাকার জায়গা, রক্ষণাবেক্ষণ, সার্ভিসিং, প্রয়োজনে মাস মাইনের বিনিময়ে চালক রাখা, বড় ইভেন্টে গিয়ে আলাদা করে পার্কিং লট নিয়ে মাথা ঘামানো। এমন হাজারটা সমস্যা রয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে ওলা উবেরই ভাল। কারণ একবার শুধু অ্যাপে বুক করুন গাড়ি দপজায় হাজির। আপনাকে নামিয়ে দিয়ে সে চলে যাবে। তারপর তার খোঁজ রাখার দায় আপনার নেই। তাইতো ঝামেলা এড়াতে অনেকেই আজকাল এই অ্যাপ ক্যাবের দিকে ঝুঁকছেন। কেউ কেউ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত বাতিলও করেছেন। ফলে সার্বিকভাবে মার খাচ্ছে গাড়ির বাজার। আরও পড়ুন-ভারতের গাড়ি বাজারে মন্দার কোপ, চার মাসে বেকার হলেন ৩.৫ লক্ষ কর্মী

জুলাইয়ের সমীক্ষা বলছে, টানা ন’মাস গাড়ির বিক্রি কমতে কমতে কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। নানা অফারের পাশাপাশি দাম কমিয়েও কার্যত বিক্রিতে গতি আসছে না। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা বিশ্বেই অর্থনীতিতে মন্দ গতি। তার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। বিলাসিতার চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা।