বাবা স্কুটার দেখলেই রেগে আগুন হয়ে ওঠেন, শুধু স্কুটারই বা বলি কেন, যেকোনও দুচাকার যান দেখলেই বাবা রেগে যান। এদিকে স্কুল জীবন থেকেই প্রিয়বন্ধুর পাল্লায় পড়ে স্কুটার চালক হয়ে গিয়েছেন, কিন্তু বাবার ভয়ে এই বাহনটিকে আর নিজের জন্য কেনা হল না। রাতবিরেতে গাড়ির শব্দ শুনলেই নাকি তাঁর আর ঘুম আসে না। তবে যেযাই বলুক, এইসময়ে একটা স্কুটার থাকলে মন্দ হয় না। আর সেই স্কুটারের যদি কোনও শব্দ না থাকে, তাহলে কেমন হয়? বাবার কাছে সব থেকে প্রিয় হয়ে উঠবেন আপনিই। আরও পড়ুন- দু-চাকায় চড়ে পাহাড়ে উঠতে চান, সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসছে হিল অ্যাসিস্ট যুক্ত ই-স্কুটার
নিজের মনের মতো করে যেমন চলাফেরা করতে পারবেন তেমন একটা স্টাইলস্টেটমেন্টও তৈরি করার সুযোগ দেয় স্কুটার। এবার হন্ডা তো পড়ে পাওয়া ১৪ আনার মতো দারুণ অফার নিয়ে নতুন স্কুটার লঞ্চ করল ভারতের বাজারে। যার ফিচার্স শুনলে এখনই বুক করতে শোরুমে ছুটবেন। আগামী সেপ্টেম্বরেই ভারতের বাজারে আসছে হন্ডার নয়া মডেলের সাইলেন্ট স্কুটার, চললেও কোনও শব্দ নেই, ভাবা যায়। নতুন এই মডেলে থাকবে এমন কিছু নয়া ফিচার, যা হন্ডার পুরনো অ্যাকটিভা মডেলে ছিল না। হন্ডার তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ দেশের বিভিন্ন শো-রুমে অ্যাকটিভা-১২৫, বিএস-৬ রেঞ্জ পাওয়া যাবে। এতে উন্নতমানের এলইডি হেডলাইট এবং রিফ্লেকটর। রেবেল রেড মেটালিক, ব্ল্যাক, হেভি গ্রে মেটালিক, মিডনাইট ব্লু মেটালিক, পার্ল প্রিসিয়াস হোয়াইট এবং ম্যাজেস্টিক ব্রাউন মেটালিক— এই ছ’টি রঙে অ্যাকটিভা-১২৫, বিএস-৬ রেঞ্জে পাওয়া যাবে বাজারে। এই ভারতের বাজারে নতুন বিএস-৬ স্কুটারের দাম পড়বে ৭০ হাজার টাকার মতো।
হন্ডার এই মডেলে পেট্রল খরচও অনেক কমে যাবে, কারণ এতে থাকছে নতুন স্টপ সিস্টেম। যাতে সহজেই স্কুটারটি স্টার্ট এবং বন্ধ করার যাবে একটি মাত্র সুইচ দিয়ে। এই মডেলে এফ-১ ক্যাটালিস্ট ইঞ্জিন রয়েছে, যা জ্বালানি সাশ্রয় করবে। পুরনো অ্যাকটিভা-১২৫ মডেলে যে সিঙ্গল সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, এখানেও সেই একই সিলিন্ডার রয়েছে। এ ছাড়াও নতুন সেমি-ডিজিটাল কনসোল রয়েছে যাতে স্কুটারের গতি এবং কতটা পেট্রল রয়েছে তা দেখা যাবে। নতুন মডেলে শব্দহীন স্টার্টিং মোটরের পাশাপাশি থাকবে ‘এক্সটারন্যাল ফ্লুইড লিড’। অর্থাৎ আগের মডেলগুলোর মতো এখন থেকে আর পেট্রল ভরার সময় সিট তুলতে হবে না। বাইরেই থাকবে তেল ভরার জায়গা। সঙ্গে থাকবে ৪-ইন-১ ইগনিশন সুইচ। পেট্রল ভরার ঢাকনা কিংবা সিট— একই সুইচের মাধ্যমে খোলা যাবে। থাকবে ‘সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর’। অর্থাৎ সাইডের স্ট্যান্ড ফেলা থাকলে স্কুটার স্টার্ট করা যাবে না। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই এড়ানো যাবে।