
দিল্লি, ৮ মে: ভারতের (India) আঘাতে কুপোকাতে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) প্রধান মাসুদ আজাহারের (Masood Azhar) ভাই আবদুল রউফ অসগর। পাকিসস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভাওয়ালপুরে যে হানাদারি চালিয়েছে ভারতীয় সেনা, তার জেরে গুরুতর আহত মাসুদের ভাই আবদুল। গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল রউফ অজগরের চিকিৎসা চলছে পাকিস্তানের সেনা হাসপাতালে। ভারতের অপারেশন সিদূঁরের আঘাতে আবদুল রউফের যখন আশঙ্কাজনক অবস্থা, সেই সময় তাকে পাকিস্তানের একটি সেনা হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হয়। আপাতত সেখানেই রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবদুল রউফ। পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
৭ মে মাঝ রাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) প্রবেশ করে ভারতীয় সেনা যখন একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত করে, সেই সময় জইশের ভাওয়ালপুর ক্যাম্পও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে জইশের ভাওয়ালপুর ক্যাম্পে ওই সময় ছিল আবদুল রউফ অজগর। বোমার আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে আহত রউফকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানি সেনা হাসপাতালে।
সিদূঁরের আঘাতে জইশ প্রধান মাসুদ আজারের পরিবারের ১৪ জন নিহত। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১৪ জন নিহত বলে জইশ প্রধানের তরফে খবর প্রকাশ করা হয়। মাসুদ আজাহারের বোন তার স্বামী, ভাগ্না, ভাগ্নি এবং ঘনিষ্ঠদের নিয়ে ১৪ জন মৃত।
অপারেশন সিদূঁর
৭ মে রাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে মাত্র ২৫ মিনিট ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানরা। ওই ২৫ মিনিটের মধ্যেই কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুজফফরাবাদের মত জায়গার জঙ্গি ঘাঁটিগুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের হামলায় যেমন কোনও পাক নাগরিকের প্রাণহানি হয়নি, তেমনি সিদূঁরের মিসাইলের আঘাতে পাক সেনার কোনও বাঙ্কারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। জঙ্গি ঘাঁটিগুলি উড়িয়ে দিয়ে ফিরে আসেন ভারতীয় সেনা বায়ুসেনার জওয়ানরা।
পহেলগামে জঙ্গি হামলা
২২ এপ্রিল পহেলগামে যে হামলা হয়, তাতে ২৬ জনের প্রাণ যায়। ২৫ ভারতীয়র সঙ্গে ওইদিন প্রাণ যায় এক নেপালি নাগরিকেরও। পহেলগামে জঙ্গি হামলার বদলা স্বরূপ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত।