নয়া দিল্লি, ১৯ মার্চঃ রাতে কানাডা থেকে ছেলের ফোন এল মায়ের কাছে, যিনি থাকেন পাঞ্জাবে। ছেলে জানালেন, স্ত্রীকে চিরদিনের জন্যে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই রাতেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে কানাডা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন স্বামী। এক বিবৃতি প্রকাশ করে কানাডার ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম জানিয়েছে, মহিলার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
জানা যাচ্ছে, কানাডার ব্রিটিশ কলোম্বিয়ার একটি বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বলবিন্দর কউর। কানাডায় মেয়ের পড়াশুনার জন্যে মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন মা। ছেলে এবং স্বামী জগপ্রীত সিং থাকেন পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। এক সপ্তাহ আগেই জগপ্রীত মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কানাডা আসেন। আর তার পরেই খুন। গত গত ১৫ মার্চ, শুক্রবার রাতে স্ত্রী বলবিন্দর কউরকে (৪১) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী জগপ্রীতের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পরেই লুধিয়ানার বাড়িতে মাকে ভিডিয়ো কল করেন জগপ্রীত। জানান, স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে মা যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেয়।।
মৃত বলবিন্দরের বোন পুলিশকে জানিয়েছে, দুজনের মধ্য্যে টাকা পয়সা নিয়ে হামেশাই অশান্তি হত। এক সপ্তাহ আগেই জগপ্রীত কানাডা গিয়েছিলেন। স্বামী বেকার কিছু বলে নিজের সাংসারিক জীবন নিয়ে একেবারেই অখুশি ছিল বলবিন্দর। ২০০০ সালে তাঁদের বিবাহ হয়। দম্পতির একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। যদিও জগপ্রীতের পরিবার দম্পতির মধ্যেকার অশান্তির কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, ছেলে-বউমা খুব সুখেই ছিল।
সেই রাতের ঘটনা নিয়ে হতবাক জগপ্রীতের গোটা পরিবার। অভিযুক্তের ভাই পুলিশকে জানান, 'হাসিখুশি দম্পতি ছিল ওরা। ঘটনার দিন কেনাকাটা করতেও গিয়েছিল। ফিরে এসে কী থেকে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না'।