PM Narendra Modi: পাঁচ বছর পর চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদী, জানালেন বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি
আজ ব্রিকস অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অধিবেশনের ফাঁকে রাশিয়া এবং ইরানের রাষ্ট্রপতিদে্র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে চলমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি, মোদী বলেছেন যে যুদ্ধ সমাধান নিয়ে আসে না।
আজ রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি একটি বার্তায় এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন, “বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।”প্রকৃত সীমান্তরেখায় নজরদারি নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। যার ফলে এই বৈঠকটি কূটনৈতিক স্তরে তাৎপর্যপূর্ণ।২০২০ সালের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা রাষ্ট্রপতির মধ্যে বৈঠকটি হবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।এই মিটিংয়ে কী নিয়ে আলোচনা হয় সেদিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া। তবে একদিকে রাশিয়ায় এই ব্রিকস সামিটের দিকেও নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। আজ ব্রিকস অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অধিবেশনের ফাঁকে রাশিয়া এবং ইরানের রাষ্ট্রপতিদে্র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে চলমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি, মোদী বলেছেন যে যুদ্ধ সমাধান নিয়ে আসে না। পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকে মোদী জোর দিয়েছিলেন যে ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি পুতিনকে ইউক্রেনের নেতৃত্বের সঙ্গে তার আলাপ আলোচনার বিষয়ে অবহিত করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে ভারত এই অঞ্চলে শান্তি আনতে অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে দেখা করেন এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি মিডিয়াকে জানান প্রধানমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান সংঘাতের বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ভারতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি উত্তেজনা কমাতে উচ্চ নেতৃত্বের আহ্বান এবং কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেনা। বিদেশ সচিব বিশদভাবে জানান যে দুই নেতা আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং আফগানিস্তানের জনগণকে অব্যাহত মানবিক সহায়তার পাশাপাশি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া ইরানের সাথে বহু পুরনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন মোদী । দুই নেতা চাবাহার বন্দর এবং আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর সহ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও আলোচনা করেছেন। বলা যেতে পারে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহাওয়াতে রাশিয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সামিটে ভারত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিপ্রবণকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)