
কাঠমান্ডু, ১৭ ফেব্রুয়ারি: ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে এখন বিজেপির সরকার চলছে। খুব শিগগির পশ্চিমবঙ্গকে মুঠোবন্দি করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। এরমধ্যে গত শনিবার ফের নয়া মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। সেদিন তিনি বলেন, এবার নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সরকার গড়তে চান অমিত শাহ। বিপ্লব দেবের এই বক্তব্যের জেরে দেশের বিরোধী রাজনীতিকরা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। সঙ্গে চলছে দেদার কটাক্ষ। এবার বিপ্লব দেবের বক্তব্যে আপত্তি জানালো নেপাল। এই প্রসঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকে নেপাল ও ভুটানের দায়িত্বে থাকা যুগ্মসচিব অরিন্দম বাগচীর সঙ্গে ফোনালাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে টুইটারে আলোড়ন পড়তেই নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি তার দবাব দেন।
তিনি বলেন, “নোট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আপত্তি জানানো হয়েছে।” আগরতলার এক অনুষ্ঠান থেকে কয়েকদিন আগেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, “২০১৮ সালে আমরা স্টেট গেস্ট হাউসে আলোচনায় বসেছিলাম। ছিলেন অজয় জামওয়াল। তিনিই বলেন, অমিত শাহ বলেছেন দেশের সব রাজ্যে বিজেপি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। এবার নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় দলের বিস্তার ঘটবে। অমিত শাহর দক্ষতার জন্যই আজকে ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল। কমিউনিস্ট পার্টির রেকর্ড বিজেপি ভেঙে দিয়েছে। এবার বাংলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হটিয়ে বিজেপির সরকার তৈরি হবে। আর কেরলেও সিপিএম কংগ্রেসের পাঁচ বছর করে সরকার চালানো বন্ধ হবে। ওখানেও বিজেপির সরকার তৈরি হবে।”
ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একের পর এক মন্তব্যের জেরে বিতর্কের শীর্ষে থেকেছেন। কখনও তিনি মহাভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন। কখনও বিবেকানন্দের বাণী ও ছবি টাঙিয়ে বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখার দাওয়াই বাতলেছেন। দলের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিতর্কিত মন্তব্যে নাজেহাল ত্রিপুরার গেরুয়া শিবির। দিল্লিতেও এনিয়ে নালিশ জমা হচ্ছে। এবার নেপালও নালিশ করল।