EU Migration Rules: অবশেষে আশ্রয়প্রার্থী আইনে কঠোর সংস্কারের অনুমোদন মিলল ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের
প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে হয় ইতালি, গ্রিস ও স্পেনের মতো 'সামনের সারির দেশ' থেকে হাজার হাজার অভিবাসী নিতে হবে অথবা এর পরিবর্তে অতিরিক্ত তহবিল বা সম্পদ সরবরাহ করতে হবে।
কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের (EU) অভিবাসন ও আশ্রয়প্রার্থীর আইন কঠোর করে একটি বড় ধরনের সংস্কার অনুমোদন করেছে। বিবিসির খবর অনুসারে, ২০১৫ সাল থেকে ইইউ অ্যাসাইলাম অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্যাক্ট নিয়ে কাজ চলছে। দুই বছরের মধ্যে এটি কার্যকর হবে। এটি আশ্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরতে উৎসাহিত করার জন্য বানানো হয়েছে। এছাড়া ইইউ সদস্য দেশগুলোকেও আশ্রয়প্রার্থীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। গত বছর প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ অবৈধভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত অতিক্রম করেছে, যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ইইউ বলেছে, চুক্তিটি নমনীয়তার সাথে সদস্য দেশগুলিকে একত্রিত করেছে। যদিও কিছু ইইউ দেশ চুক্তির কিছু অংশের বিরোধিতা করছে, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের অধীনে এপ্রিলের শেষে এটি সম্পূর্ণ অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। UK-Rwanda Deportation: দ্রুতই চালু হবে প্রথম ব্রিটেন থেকে রুয়ান্ডা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিমান পরিষেবা
প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে হয় ইতালি, গ্রিস ও স্পেনের মতো 'সামনের সারির দেশ' থেকে হাজার হাজার অভিবাসী নিতে হবে অথবা এর পরিবর্তে অতিরিক্ত তহবিল বা সম্পদ সরবরাহ করতে হবে। চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর ইইউ ভূখণ্ডে প্রবেশ না করে তাঁর আগে আশ্রয়ের আবেদনের বিষয়কে পরীক্ষা করতে হবে। দ্রুতভাবে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যে আশ্রয়ের আবেদন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে এই চুক্তির লক্ষ্য। প্রত্যাখ্যাত হলে আশ্রয়প্রার্থীদের একই সময়ের মধ্যে জোরপূর্বক নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। অভিবাসীদের সাত দিনের মধ্যে প্রবেশের আগে কঠোর স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে, যার মধ্যে সনাক্তকরণ এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ছয় বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনও অভিবাসীর জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মধ্য-ডানপন্থী ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি গ্রুপ (EPP Group) এবং মধ্য-বামপন্থী প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অব সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস (S&D) এই অভিবাসন চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (Olaf Scholz) 'ঐতিহাসিক, অপরিহার্য পদক্ষেপের' প্রশংসা করেছেন। তবে বামপন্থী ও উগ্র ডানপন্থী দলগুলো এই চুক্তির বিরোধিতা করেছে। ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির জর্ডান বারদেলা অভিবাসন চুক্তিকে 'ভয়ানক' আখ্যা দিয়ে আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় নির্বাচনে চুক্তির সমর্থক প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে ভোট দিতে ইউরোপীয়দের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, এই বিষয়ে যুক্ত এনজিওগুলির একটি সাধারণ আপত্তি হল আশ্রয়প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম, তাই তারা ছোট সীমান্তের দ্বীপগুলিতে বা ফ্রন্টলাইন দেশে প্রবেশের ন্যায্য পদ্ধতিতে অ্যাক্সেস কম পাবে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) বলেছে, সীমান্তে আটক ও দ্রুত প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে যাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত তাদের ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)