কাঠমাণ্ডু: নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ জাতীয় নির্বাচন (National election) হতে চলেছে নেপালে (Nepal)। তার আগে ভারতের (India) সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে থাকা সমস্যা মিটিয়ে সম্পর্ক আরও ভালো করার বার্তা দিল নেপালের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেস (Nepali Congress)। সম্প্রতি প্রকাশিত তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে (election manifesto) এমনটাই ইঙ্গিত মিলল।

নেপালি কংগ্রেসের তরফে প্রকাশিত ওই নির্বাচনী ইস্তেহারে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, দেশের শাসন ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। বিশেষ করে কালাপানি, লেপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা এলাকায় দুদেশের সীমান্ত নিয়ে মাঝে মাঝে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করার চেষ্টা করবে নেপালি কংগ্রেস। এই বিষয়ে নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে নেপালের ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।

মোট ৫৬ পাতার ওই নির্বাচনী ইস্তেহারের ৯ নম্বর পাতায় পরিষ্কার বলা হয়েছে,  ভারতের সঙ্গে থাকা সীমান্ত এলাকা সুস্থা, কালাপানি, লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরার বিষয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচন চালিয়ে সমাধানের পথ খোঁজা হবে। যেমনভাবে চিনের সঙ্গে নেপালের উত্তরপ্রান্তে থাকা হুমলার সমস্যা কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে দিয়েই মিটেছে। শেষবার ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী দেউবা সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে সদর্থক আলোচনাও করেন। এই বিষয়ে নেপালের কী অবস্থান তাও স্পষ্ট করেন।

নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি ও কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে গঠিত ৪১ জনের নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির কমিটি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য উদগ্রীব বলেই জানা গেছে।