বেজিং, ৩০ জুন: ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের (India-China Border Tension) জেরে সোমবার ৫৯ টি চিনা অ্যাপ (Chinese Apps) নিষিদ্ধ করার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের এই পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন চিন। চিনা অ্যাপের ওপর ভারতীয়দের তথ্য চুরি করার অভিযোগের পরে, চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, "আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির তদন্ত করছি।" কেন্দ্রীয় সরকার টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ারইট, ক্লাব ফ্যাক্টরি, ক্যাম স্ক্যানার, হ্যালোর মতো অ্যাপগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জনপ্রিয় এই অ্যাপগুলি ভারতে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। এইমুহূর্তে ব্যবসা গোটাতে হলে মাঠে মারা পড়বে চিন।
ঝাও লিজিয়ান আরও বলেছেন, "আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই যে চিন সরকার সর্বদা চিনা ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আইন ও বিধি মেনে চলে। চিন-সহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আইনগত অধিকার রক্ষা করা ভারত সরকারের দায়িত্ব।" যদিও আজ, টিকটক ইন্ডিয়া (TikTok India) একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ভারতের কোনও তথ্য বিদেশে পাচার করা হয়নি। তাদের তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে। কিন্তু এই বিবৃতি কতটা ভরসাযোগ্য হবে এখন তাই প্রশ্নের। আরও পড়ুন, 'ভারতীয় তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে, বিদেশে পাচার হয়নি', দাবি করে টুইট টিকটক ইন্ডিয়ার
China is strongly concerned, verifying the situation: Chinese Foreign Ministry spokesperson Zhao Lijian on India banning Chinese apps (file pic) pic.twitter.com/XUbeZpSl6i
— ANI (@ANI) June 30, 2020
কেন্দ্রীয় সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, ভারতের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং গণ-শৃঙ্খলার জন্য ৫৯ টি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করে, গোপনে ভারতের বাইরে কোনও সার্ভারে প্রেরণ করে। টিকটকও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার কারণে মানুষের গোপনীয়তা বিপন্ন হচ্ছিল বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।
লাদাখের গালভান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের সহিংস সংঘর্ষের দু' সপ্তাহ পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিনা সৈন্যরা এলএসি-তে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভারতীয় সেনাদের আক্রমণ করেছিল, যার ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা গিয়েছিলেন এবং চিনা পক্ষের সেনারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়, যদিও সংখ্যাটা পরিষ্কার নয়। এর পরে বেশ কয়েক দফায় আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই দেশ উত্তেজনা হ্রাস করা হয়েছে।